পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠছে জাল টাকা সরবরাহ চক্রের সদস্যরা। এসময়টায় বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাল টাকা চালানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে এ চক্রটি। এতে বেশীর ভাগই অনভিজ্ঞ মানুষজনরা প্রতারনার শিকার হচ্ছে। এসব জাল টাকার মধ্যে এক হাজার কিংবা পাঁচশত টাকার নোট অপেক্ষাকৃত বেশী বলে জানা গেছে। আলীপুর, মহিপুর, কুয়াকাটা এবং বালিয়াতলী-বানাতিবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় এ চক্রের সদস্যরা সবচেয়ে বেশী সক্রিয়।

সূত্রে জানা যায়, এরা বেশীর ভাগ লেনদেন করে প্রাম-গঞ্জের দোকান-পাট, গরু-ছাগলের হাট বাজার কিংবা জনবহুল সাপ্তাহিক হাট-বাজারে। এক হাজার এবং পাঁচশত টাকার জাল নোট এবং অরিজিনাল নোট গুলো দেখতে প্রায় একই রকম বলে অনেকের পক্ষে সহজেই চেনা সম্ভব হয় না। এরফলে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে অহরহ ।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক-বীমায় খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, এসব জাল চক্রের সদস্যরা টাকা খুচরা করার নামে জাল টাকা দিয়ে ধরা পড়েছে। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই জাল টাকা পুড়ে ফেলেছে। তবে ব্যবসায়ীদের অনেকেই এসব নকল টাকা সনাক্ত করতে না পেরে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন।

নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহবায়ক কমরেড নাসির তালুকদার জানান, গোয়েন্দা সংস্থার দূর্বলতার কারনে এ চক্রের সদস্যরা ধরা পড়ছে না। দেশ থেকে জাল টাকা চক্রের সদস্যদের নির্মূল করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর কলাপাড়ার সভাপতি শামসুল আলম বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যদের জরুরী ভিত্তিতে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহম্মেদ জানায়, এ জাল টাকা চক্রের সদস্যরা ঈদ-কোরবানি এলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ জাল টাকা চক্রের সদস্যদের দুএকজন ধরা পড়লেও বাকীরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে. চোখের আড়ালে। আমরা এ চক্রের মুল হোতাদের গ্রেপ্তারের অপেক্ষায়।