প্রচন্ড খরতাপে স্বস্তির সুবাতাস দিচ্ছে আর মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সোনালু, ক্যাসিয়া, কৃষ্ণচূড়া। গ্রীষ্মে এই ফুল মুগ্ধ করে প্রকৃতি প্রেমীদের।

শ্রীমঙ্গল শহরের প্রবেশপথ ভানুগাছ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বধ্যভুমি ৭১ থেকে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পয়েন্ট পর্যন্ত চা বাগানের সারি। শ্রীমঙ্গল শহরের খুব কাছে বধ্যভূমি ৭১ পেরুলেই চা-বাগান। ভাড়াউড়া চা বাগানের ফাঁড়ি বাগান ভুরভুরিয়া চা বাগানের মাঝ দিয়ে চলে গেছে আঁকা-বাঁকা পীচ ঢালা পথ। এটি শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়ক।

বধ্যভুমি ৭১ থেকে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে একের পর এক বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় ফুলের গাছ। দুর থেকে দেখা যায় হলুদ, সোনালী, লাল ফুলের অপরুপ দৃশ্য। সোনালু, ক্যাসিয়া জাভানিকা, কৃষ্ণচূড়াসহ আরো অনেক প্রজাতির ফুল গাছ। সারি সারি এসব গাছে লাল, হলুদ, সোনালী শোভায় মেলে ধরেছে তাদের সৌন্দর্য। এ পথে চলাচলকারী পথচারী, পর্যটক-দর্শনার্থী, প্রকৃতিপ্রেমীরা ফুলে ফুলে ভরা এসব দৃশ্য দেখে হন মুগ্ধ। কেউ কেউ ব্যস্ত হয়ে পড়েন ছবি তুলতে।

গাছে গাছে ফুটে থাকা রক্তলাল, হলুদ, সোনালীসহ হরেক প্রজাতির গাছের ফুলগুলো সৃষ্টি করেছে এক বৈচিত্র্যময় পরিবেশ। এ ফুলের গাছগুলো সমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে নিজেকে মেলে ধরেছে প্রকৃতিতে। যেন লাল, হলুদ, গোলাপী, হলুদ আর সোনালী রঙে রাঙিয়েছে প্রকৃতি।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় সোনালু আর কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিশেষ করে সোনালু দুর্দান্ত ফুলের গাছ। এটি তার আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। শোভাময় গাছ হিসেবে এর উজ্জ্বল হলুদ ফুল সড়ক, বাগান, পথগুলিকে শোভিত করে। সোনালু ফুল তার দীপ্তিময় বর্ন দিয়ে দর্শকদের মোহিত করে। প্রকৃতির এক অপরুপ সৃষ্টি সোনালু ফুলের সৌন্দর্য। প্রকৃতিকে নয়নাভিরাম রুপে সাজিয়ে তুলতে এর জুড়ি নেই।