বদলির আদেশ হওয়ার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দায়িত্ব হস্তান্তর ও কর্মস্থল ত্যাগ করেননি পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন। কবে নাগাদ তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন আগামী জুন মাস পর্যন্ত পটুয়াখালীতে থাকার জন্য প্রধান প্রকৌশলীর কাছ থেকে মৌখিক ভাবে অনুমতি এনেছেন এমন গুঞ্জন চলছে অফিস জুড়ে।

লতিফ হোসেনের দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে দেশের বহুল প্রচারিত একাধিক গনমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পরে গত ১৬ এপ্রিল এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের মাধ্যমে তাকে এলজিইডি সদর দপ্তর ঢাকায় বদলি করা হয়। এর পরেও কোন ক্ষমতাবলে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন কেনইবা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছেনা, মৌখিক অনুমতি নিয়ে দুই মাসের অধিক সময়কাল বদলিকৃত পদে বহাল থাকার কোন বিধান আছে কিনা এমন প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। এই দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা কার্যভার হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিপীড়িত ঠিকাদারদের মনেও নেই স্বস্তি।

 

এদিকে লতিফ হোসেনের স্থলে পদায়নকৃত নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হোসেন আলী মীর পটুয়াখালী এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যোগদান করা সত্ত্বেও দায়িত্বভার না পেয়ে বাধ্য হয়ে তার পূর্ববর্তী কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন।
মোঃ হোসেন আলী মীর মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, দায়িত্বভার পাইনি তাই পূর্বের কর্মস্থলে কাজ করছি। শুনেছি লতিফ স্যার নাকি জুন মাস পর্যন্ত পটুয়াখালী থাকার পারমিশন এনেছেন।

এলজিইডি পটুয়াখালীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ মহির উদ্দিন সেখ মুঠোফোনে জানান, হুট করে এই পদ থেকে চলে যাওয়া যায় না। দীর্ঘদিন ধরে লতিফ সাহেব এখানে কাজ করছেন ওনার কোন কাজ থাকতেই পারে হেডকোয়ার্টারের নির্দেশ পেলেই উনি এখান থেকে চলে যাবেন।

তিনি আরো বলেন, কোন কোন অফিস-আদেশে দায়িত্ব হস্তান্তরের তারিখ উল্লেখ থাকে। কিন্তু এই অফিস আদেশে বলা হয়েছে অবিলম্বে কার্যকর হবে। এই অবিলম্বেটা কতদিন সেটি নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে হেডকোয়ার্টার থেকে ছাড়পত্র পেলেই তিনি চলে যাবেন।

এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আখতার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, একটি জেলার নির্বাহীর দায়িত্ব হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কিছু হিসাব নিকাশ থাকে। তবে সে এক সপ্তাহের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। মৌখিক কোন আদেশ হয়না। গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তেমন কিছু থাকলে তো অর্ডার জুন মাসেই করা হতো।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফ হোসেনের মুঠোফোনে বারবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্যঃ কাজের বিনিময়ে উৎকোচ গ্রহন। চুক্তিপত্র সম্পাদন ও বিল ছাড়ের জন্য কাজের চুক্তিমুল্যের শতকরা ২/৩ ভাগ টাকা নেওয়া সহ চলমান কাজে বিভিন্ন ত্রুটি বের করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে টাকা হাতিয়ে নিতেন এই কর্মকর্তা। কোন কোন ক্ষেত্রে নগদ আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। এমনকি কোন একাউন্টে টাকা জমা দিতে হবে তা নিজ হাতেই লিখে দিতেন। এমন অগনিত প্রমান ঠিকাদারদের হাতে রয়েছে।