
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে স্ত্রী ও সন্তানকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হেয়াতপুর চিনিরচড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার সময় শহিদুল ইসলামের বাড়ীর আঙ্গিনায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন শহিদুলের স্ত্রী মর্জিনা বেগম(৩২) ও মেয়ে আফরিন (৬)। এ ঘটনায় আহত ছেলে আল আমিন (১৩) আশংকা জনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম বলেন- পারিবারিক কলোহের জেরে তার নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় স্বামী শহিদুল ইসলাম স্ত্রী মর্জিনাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
এ সময় তার দুই সন্তান মাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও আঘাত করে গুরুতর জখম করে। মর্জিনাকে উদ্ধার করে দাউদপুর বাজারে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
অপর দিকে তার দুই সন্তানকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠান।
রবিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আফরিন মারা যান। এ ঘটনায় মর্জিনার মা গোলাপী বেগম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে সন্দেহ হলে স্বামী শহিদুল ইসলামকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতার শহিদুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন