বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৪র্থ দফায় ৬ জুন কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে থাকলেও বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য কোনো দলেরই প্রার্থীরা মাঠে নেই।
ফলে গত সংসদ নির্বাচনের মতো এবারো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্ধনিদ্বতার সম্ভাবনা রয়েছে।
এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম প্রচার-প্রচারণায় দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। দল থেকে একাধিক প্রার্থীর এ প্রতিদ্বনিদ্বতা আওয়ামী লীগকে দলীয় দ্বিধাবিভক্ত করলেও নির্বাচনকে প্রতিদ্বনিদ্বতাপূর্ন করতে তারা এমন কৌশল নিয়েছে।
এতে আপাতদৃষ্টিতে নির্বাচন প্রতিদ্বনিদ্বতা পূর্ণ হলেও সব দল অংশগ্রহণ না করায় এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে।
তথ্য সূত্র ও উপজেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার ভোট সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ১৯৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৪৩, মহিলা ভোটার ৯৯ হাজার ১৪৯। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনের ১ম দফা থেকে ৪র্থ দফায় প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিষয়টি জানার পরই সরব হয়েছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন। কেউ কেউ তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সুযোগে দলটি থেকে একাধিক নেতার নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
নিজের প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন কেউ কেউ আবার কারো পক্ষে ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করে দোয়া চাইছেন তার কর্মী, সমর্থকরা, কেউ পোষ্টার ছাপিয়ে দোয়া চাইছেন।
এছাড়া শহর ও গ্রামের হাট- বাজারে গিয়ে ভোটারদের সাথে হাত মিলিয়ে, আলিঙ্গন করে দোয়া চাইছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী প্রার্থীরা।
ভোটাররাও এবার স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ও সমর্থন না থাকায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী দলীয় সমর্থন পেতে লবিং, ততবির শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অংশগ্রহন কারীদের মধ্যে ইচ্ছুক প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য দোয়া চাইছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদার, জেলা কৃষকলীগ নেতা ও সাবেক টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আকতারুজ্জামান কোক্কা, উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহিনা পারিভিন সীমা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বাবুল, দপ্তর সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, শ্রমিকলীগের সভাপতি হীরা হাওলাদার স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ফয়জুর রহমান আশিক তালুকদার, আওয়ামীলীগ নেতা মো. নিজাম উদ্দিন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনেচ্ছুক প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা উম্মে তামিমা বিথী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা রোজিনা আখতার, কামনুহার মলি, রাশেদা বেগম।
আওয়ামীলীগের উপজেলা দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বলেন, আমি ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে গনসংযোগ করছি তাতে দেখলাম জনগনের ব্যাপক সারা পাচ্ছি। আমি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের জন্য নিবেদিত প্রান কর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য ব্যাপক পরিচিত রয়েছে। এ হিসেবে ইনশাল্লাহ নির্বাচনে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।
আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ জানান, আমি উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত হতে পারলে উপজেলা পরিষদকে স্মাট উপজেলা পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ। আমি দীর্ঘদিন থেকে মাঠে কাজ করছি। এতে জনগনের ভাল সারা পাচ্ছি।
আওয়ামীলীগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আবদুল মোতালেব তালুকদার জানায়, আমি অনেক এলাকায় জনগনের সাথে গনসংযোগ করেছি, ভবিষ্যত অনেক ভালো দেখছি। আমি মাঠে আছি ও ইনশাআল্লাহ আমার বিজয় হবে।
মন্তব্য করুন