সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক এবং জাহাজ দুটোকেই মুক্ত করা।’

মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী যারা দেশে অবস্থান করছে তাদের প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আগের মতোই ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’

আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা খাসিফ আলমুদি সাক্ষাৎ করেন।

সে বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ‘সম্প্রতি আরব আমিরাতে আমার দ্বিপাক্ষিক সফরে সে দেশের পররাষ্ট্র ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীদ্বয়ের সাথে সামগ্রিক সব বিষয়ে আলোচনার ‘ফলো আপ’ সাক্ষাত এটি। ইউএই’র সাথে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। সেখানে এক মালিক হতে অন্য মালিকের অধীনে ‘আকামা’ বা কর্মানুমতি হস্তান্তর সহজ করার বিষয়ে এবং দুবাই ছাড়া অন্য আমিরাতগুলোতে বাংলাদেশিদের ‘ওয়ার্ক পারমিট’ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

পাশাপাশি দেশে ইউএই’র বিনিয়োগ বাড়াতে ইকোনমিক জোনগুলোতে আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহ্বান এবং মাতারবাড়িতে ৩০০ একর জমি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান ড. হাছান।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গাজায় নির্বিচারে শিশু ও নারী হত্যা চলছেই। গাজা বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কারাগারে পরিণত হয়েছে। এই ঘৃণ্য সহিংসতা বন্ধে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে একযোগে কাজ করা নিয়ে কথা হয়েছে।’