আর আমার হলো কই
ওলো সই –
কেমন করে এবার বলো মনের কথা কই?
আমার এসব মনোহারী লীলা গীত শোনে
কী আর হবে বলো?
তারচেয়ে বরং
একঝলক দ্যাখে নাও -আমার রকমারী
যন্ত্রণাগুলো কতো উত্তরাধুনিক –
ওদের দেহ নেই, তবুও লাউডগার মতো
কেমন তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে
ওদের হাত নেই, তবুও স্বর্ণলতার মতো
আমায় জড়িয়ে থাকে! বরমাল্য হয়ে
গলায় ঝুলে থাকে!
পা নেই তবুও ঝুমুর তালে নৃত্য
করে, নুপুরের ছন্দ তোলে হৃদমহলে
অবিরত ; বেহাগের সুর তোলে
মনোবীণায় –
দন্তহীন- তবুও কুটকুট কাটে ভিতরে
বাহিরে সব!
হৃদয়ের হেরেমে বিনোদিনী দহন
খলখলিয়ে হাসে ;
(যেমন প্রথম প্রেমের উচ্ছাসে তুমি হেসেছিলে সেইদিন)
আর নীল বিষে আমি বারবার মরি,
শতবার মরি, মরে গিয়েও বেঁচে যাই-
এবং এখনো বেঁচে আছি-
এইসব চৌদ্দরঙের লীলাপুরান পড়তে পড়তে
শেষের পাতা পড়ার অধীর অপেক্ষায়!!