
সাহানা সুলতানা
হেমন্ত আমায় পাশে
ডেকেছিলো,,হাত ধরেছিলো,,
জানতে চেয়েছিলো,অশান্ত মরুর বুকে চিকচিক বালুকণার ঝলকানিতে উদ্বেলিত হয়েছিলাম কখনো?
মিথ্যে বলিনি,,বলেছিলাম,,কখনো মরুভূমিতে যাইনি।
এবার হেমন্ত আরো কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বললো,,এই মেয়ে,, সাগরেও যাও নি বুঝি?
তখনও মিথ্যে বলিনি,,,না যাই নি,,আমি সাগর দেখিনি।
কখনো ফুলের কানে ভ্রমরের গুঞ্জন শুনো নি ?
ঐ শালুক বিলে পদ্ম ফোটা শিশিরে গা ভিজিয়েছিলে?
নাহ,,,,
বলতেই সমস্ত দেহমন শিহরিত হয়ে উঠলো,,
কেমন অজানা অনুভূতির পরশ লেপটে দিলো আমায়।
মনে হলো,,হুম,,দেখেছি মরুভূমির চিকচিক বালুকণার ঝলকালি,
দেখেছি সাগরের বিশালতা, ফুলের কানে ভ্রমরের গুঞ্জনে অভিভূত হয়েছি,,,
বাইরে উত্তাল ঝড় বইছে,,অন্ধকারে হেমন্তকে কোথাও খুঁজে পাই নি।
শোঁ শোঁ আওয়াজে ভয় পেতে লাগলাম।
ততক্ষণে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলো,,,হেমন্ত,, তুমি কোথায়?
জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলাম,,,
কোথাও তুমি নেই,,,,?
আমি সাগর মরুভূমি না দেখলেও ঝড় দেখেছি,,প্রলয়ংকরী ঝড়,,,
ঝড়ের রাতে তোমায় খুঁজেছি।।
এবারও তোমায় পাইনি।
প্রতিবারই হেমন্ত আসে,,জীবন রাঙ্গাতে,,কিংবা রঙিন হতে।।।
অবশেষে নিজের অজান্তেই হারিয়ে যায়।।
নতুন ঋতুর আগমনে হেমন্ত ছুটে চলে অন্য দিগন্তে।
ধূসর আবছা কিছু স্মৃতি রোমন্থন করতে হয়তো আবার নতুনভাবে হেমন্ত আসবে অন্য শহরে, অন্য নগরে।
হেমন্তের আবির্ভাবে পাকা ধানের সোনালী ছোয়ায় মন শুভ্র সতেজ হলেও বিদায় কালে সকল সৌন্দর্য সাথে করে নিয়ে যাবে।
হেমন্ত কখনো একক বলয়ে আবিষ্ট হয় না।
সার্বজনীন ভাবেই দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবারই হেমন্ত আসে,,,ফিরে যেতে।
মন্তব্য করুন