সাহানা সুলতানা

এক নব কিশোরের গল্প,,
বয়স খুবই অল্প,,তেরো কিবা চৌদ্দ
দুষ্টামি আর ডানপিটে,,
পাড়া রাখতো মাতিয়ে,
ছিলো ছিপছিপে গড়নের
বাবা মার বেশ আদরের।

একদিন এ কি হলো?
জীবনের মোড় ঘুরে গেলো।
হ্যাফপ্যান্ট পরিহিত কিশোর ছেলেটি,
স্কুল মাঠে দেখেছিলো, জননেতা রব ভাইকে।
শখ চেপেছিলো রাজপথের সেদিন থেকে।

এভাবে কেটে যাবে এতোগুলি বছর।
তখনো কি সে জানতো,,
রাজপথেই হবে ক্ষান্ত?
তখনো কি ভেবেছিলো,
জীবনের সকল চাওয়া হবে এখানে প্রাপ্ত?

পোস্টার আর ব্যানার লাগাতে
কেটে গেলো সারারাত
কখনো পুলিশের ধাওয়া খেয়ে
হলো কপোকাত।

নিজের অজান্তেই শখ কখন নেশায় রূপ নিলো,
সেই ছেলেটি কখন পেলো যৌবন,
কখন পেলো তারুণ্য,
ভুলেই গেলো, সকল চাওয়া,,
তার কাছে অতি নগন্য।

রাজপথ,আন্দোলনে কেটে গেলো
বহু বছর -কয়েক যুগ
প্রেয়সীর টানে কখনোই ঘরমুখী হয়নি সে যুবক।
বন্ধুদের কোলাহল ছেড়ে মিছিলে স্লোগানে মত্ত,
ফ্যাসিবাদ হাটাও,দেশ বাঁচাও,, পাতাকা রক্ষায় দৃঢ়চিত্ত।

দুষ্ট চক্রের কাছে করেনি মাথানত।
ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেঙ্গেছো অবিরত।
নানা হয়রানি আর পুলিশের ভয়ে
কেটে গেলো সারাটি জীবন,,
সে তো আর কেউ নয়,
,আমাদেরই বন্ধু নিক্সন।

তোমার নাম হয়তো বা লেখা হবেনা
ইতিহাসের পাতায়
তোমার কর্মের গুনগান করবে,
ফসলের মাঠের চাষায়,
ষাট ফিটের সুজা ভাই,মধুমতির মধুমিয়া
বানাড়ী পাড়া- উল্লা পাড়ার বালকেরা
কৃষাণীর লজ্জানত ঘোমটার আড়ালে,
তোমায় ঠিক চিনে নেবে।

বৃদ্ধা মা, ঠিক তোমায় ডেকে নেবে,,
আঁচলের মমতায়।
তুমি মহান হয়ে থাকবে বন্ধুদের মাঝে,,
তোমার গুনগান হবে কোন একদিন
চায়ের আড্ডাতে।
পল্টন মোড়ে,প্রেসক্লাবে কিংবা
রিপোর্টার্স ইউনিটির ফুটপাতে।

তিন যুগ পার করে হে প্রিয়,,
তোমায় করি সম্ভাষণ।।
সেই ছেলেটি আর কেউ নয়,,
সে যে আমাদেরই খুব কাছের আপন জন
প্রজন্মের জাগরনে নিক্সন।

গানটি যেন তোমার জন্যেই গেয়েছিলো,,
পৃথিবী আমারে চায়,,রেখো না বেঁধে আমায়,,
খুলে দাও প্রিয়া,খুলে দাও বাহুডোর