কানাডার নিউ ফাউন্ড ল্যান্ড এর কোস্টাল লাইন থেকে প্রায় চারশো মাইল দূরের সমুদ্রের নীচে!
অতলান্তিক ( atlantic এর বাংলা) মহাসমুদ্রের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার গভীর জলের নীচে!
ওশনগেইট ( oceangate) নামের একটা কোম্পানি আছে, ওরা টাইটানিক ট্যুরিজম করে! আট দিনের একটা ট্যুর প্যাকেজ।
আপনাকে প্রথমে কানাডা থেকে জাহাজে করে আটলান্টিকের উপর টাইটানিক ডুবার জায়গাটায় নিয়ে যাবে, তারপর আপনাকে নিয়ে একটা ছোট্ট সাবমেরিনে করে, সার্ফেস থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার গভীরে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের মুখোমুখি করা হবে! রীতিমতো ব্রেথ টেকিং এক্সপেরিয়েন্স! তবে পুরো প্যাকেজটা মারাত্নক এক্সপেন্সিভ।
বাংলাদেশী টাকায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার উপরে লাগে ! এই সাবমার্সিবল, মিনি সাবমেরিনটার নাম হচ্ছে টাইটান! খুবই মাইক্রো সাইজের একটা সাবমেরিন। তাতে টেনেটুনে পাইলট সহ মোটে পাঁচ জনের জায়গা হয়!
সমস্যা হচ্ছে, রবিবার সকাল বেলা, টাইটানে করে চারজনের একটা ট্যুরিস্ট দল, টাইটানিক দেখতে নেমেছিলো! নামার কিছুক্ষণ পর থেকে, টাইটানের আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা! কোন সিগ্নাল নাই। ভিশন নাই। কিচ্ছু নাই! ভ্যানিশ! টাইটানে বড় জোর ছিয়ানব্বই ঘন্টার অক্সিজেন সরবরাহ আছে। পানি খাবারও খুব একটা নেই! এদের রেসক্যু মিশনে এখন আমেরিকা, কানাডার কোস্ট গার্ড নেভি নেমেছে তবু কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা!
সাবমেরিনে, ইংল্যান্ডের তিন জন আছে দেখলাম। একজন বিলিয়নিয়ার হামিশ হার্ডিং, আরেকজন পাকিস্তান বর্ন বিজনেস টাইকুন দাউদ আর তার ছেলে! টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সে অঞ্চলে আরেকটা বিয়োগ গাথা রচিত হচ্ছে? টাইটানিক ব্যাপারটাই কি মৃত্যু ডেকে আনে? টাইটান নামটাই কি ভ্যাজালের? নাকি আসলে একট অতি ক্ষুদ্র কো ইনসিডেন্স? নাকি শেষ পর্যন্ত কোন একট অলৌকিক উপায়ে টাইটানকে খুজে পাওয়া যাবে! সময় ফুরিয়ে আসছে দ্রুত! মোটে কয়েক ঘন্টার অক্সিজেন সাপ্লাই আছে আর!
( টাইটানের জন্য প্রার্থনা।)
-ডা.ইমরান কায়েস