পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন এর ঘোড়া মার্কার সমর্থন না করায় মটরসাইকেল মার্কার সমর্থক মোঃ কাজী হামিদুল (১৬) নামে এক যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত এগারোটায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গছানি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কাজী হামিদুল বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

মারধরের শিকার মটরসাইকেল মার্কার কর্মী কাজী হামিদুল জানান, গছানি বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিলে ঘোড়া মার্কার সমর্থক মিহাদ, আবির, রবিউল, আব্দুল্লাহ, সিয়াম, সাইফুল সহ ৮/১০ জন আমাকে বলে তুই মটরসাইকেল মার্কার হয়ে মাঠে কাজ করতে পারবি না, আমাদের সাথে ঘোড়া করবি। তখন ওদের কথায় আমি রাজি না হওয়ায় প্রথমে রবিউল আমাকে পিছন থেকে ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে এবং পরে সবাই মিলে আমার উপর মারধর শুরু করে৷ একপর্যায়ে আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে ওরা পালিয়ে যায় এবং আমাকে ওখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।

এবিষয়ে ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বাঁশবাড়িয়া আমার নিজের এলাকা। এখানে আমাদের ঐক্য ভাঙার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা নানান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মটরসাইকেল মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ বশির উদ্দিন জানান, কাজী হামিদুলের অপরাধ ও মটরসাইকেল মার্কার কর্মী। বেশ কিছুদিন যাবত ঘোড়া মার্কার সমর্থকরা হামিদুলকে হুমকি দিয়ে আসছিলো কিন্তুু গতকাল রাতে সরাসরি হামলা করে। আসলে মটরসাইকেল মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত জেনেই আমার কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে ঘোড়া মার্কার সমর্থকরা বলে জানান বশির উদ্দিন। তবে আমি আমার সকল কর্মীদের নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার জন্য শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছি।

দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে এসআই শাখাওয়াত হোসেনকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।