পটুয়াখালীর কুয়াকাটা রাতভর নানা আয়োজন শেষে যখন সূর্যের আলোয় পৃথীবিকে আলোকিত করেছে। অতি প্রত্যুষে ঢাক-ঢোল ও নানা বাদ্যযন্ত্রের ঝনঝনানিতে প্রকম্পিত করে তোলে হাজারো পূণ্যার্থীদের সমাগমে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দুই কিমি. এলাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হিন্দুধর্মালম্বী পূণ্যার্থীরা কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে ভগবানকে আমন্ত্রণ, মঙ্গলঘট স্থাপন ও সন্ধ্যা আড়তির মধ্য দিয়ে শুরু করেন এ রাস পূজা। রাতভর চলে ভগবাত পাঠ, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মহানাম কীর্তন। ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরে আজ (সোমবার) ভোরে হিন্দুধর্মালম্বী নর-নারীদের পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় রাসলীলা।

নিজেদের পাপ মোচন এবং দেশ ও মানব জাতির কল্যানের আশায় কুয়াকাটা সংলগ্ন সমুদ্রে এসে এমন প্রার্থনা করেছে বলে জানান আগত অনেক ভক্তবৃন্দরা।

রাস পূজা ও মেলা উদযাপনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গতকাল সকাল থেকেই ভিড় জমায় দূর-দূরান্তের ভক্তবৃন্দ সহ ভ্রাম্যমান দোকানিরা। এছাড়াও ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ দুপুর থেকে মেলা কেন্দ্রে জমতে শুরু করেন। মেলাকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যয় এবারও আড়াইশত ভ্রাম্যমাণ দোকানে নানা জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। তবে স্থানীয় ক্রেতা ছাড়া দেশের নানা প্রান্তের মানুষের হাতেগোনা উপস্থিতি ছিল এই মেলায়। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে পূণ্যার্থীদেরও আগমন ছিল আশানুরূপ এবং দোকানিদের তুলনামূলক বেচা-বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে রাতভর স্থানীয় হিন্দুধর্মালম্বী পূণ্যার্থীদের আগমন ঘটে প্রত্যুষে পূণ্যস্নানকে ঘিরে। এছাড়াও পর্যটক ও দর্শনার্থীদের পদচারনায় উপচেপড়া ভীর ছিলো চোখে পড়ার মতো। আগত এ সকল পূন্যার্থী এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় আইনশৃংখলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যকে।