
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ না পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে জুতাপেটা করার অভিযাগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের খালেক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২ মে) সকালে কুশলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়ত হোসেন সর্দার টুঙ্গিপাড়া থানায় লিখিত অভিযাগ করেছেন।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হলেন কুশলী ইউনিয়নের খালেক বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম। তিনি কুশলী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তিন মাস ধরে কুশলী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত সুপেয় পানি ঠিকমতো পাচ্ছেন না ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। অথচ পানির বিল বাবদ প্রতি মাস রশিদের মাধ্যমে ৫০০ টাকা করে ওই সব বাসিন্দাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হাসান সরদারকে এলাকাবাসী ও অভিযুক্ত কামরুল একাধিকবার জানালেও বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি।
গত রবিবার (৩০ এপ্রিল) পানি সরবরাহ নিয়ে সন্ধ্যায় খালেক বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় কামরুল ইসলামের। একপর্যায়ে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম জুতা খুলে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারতে শুরু করেন। তখন স্থানীয়রা তাকে নিবৃত্ত করলে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাড়ি চলে যান। অভিযুক্ত কামরুল ইসলামর স্ত্রী লাইজু বেগম বলেন, চেয়ারম্যানকে জুতাপেটা করা হয়নি।
গত তিন মাস ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহকৃত সুপেয় পানি আমরা পাচ্ছি না । চেয়ারম্যানের সঙ্গে এ নিয়ে আমার স্বামী কামরুলের বাগবিতণ্ডা হয়েছে। আর এ ঘটনার পর গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ভাই জাহাঙ্গীর সর্দারের ছেলে হৃদয়সহ ১০-১৫ জন লোক বাজারে আমাদের দোকানের সামনে থাকা কয়েকটি ব্যানার ফেস্টুন ভাঙচুর করে। এছাড়া আমার স্বামী ও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
কুশলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়ত হোসেন সর্দার দোকান ও ব্যানার ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় খালেক বাজারে আমি গাড়ি থেকে নেমে এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ কামরুল জুতা দিয়ে আমার পেছনে আঘাত করে চলে যায়। এরপর আমিও বাড়ি চলে আসি। এ নিয়ে আমার লোকজনকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছি। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতে বিভিন রকম কিচ্ছা-কাহিনী রটাচ্ছে। তবে পানির সরবরাহে মিটারে সমস্যা হয়েছে। তিন লাখ টাকা দিয়ে নতুন মিটার কেনা হয়েছে। এখন পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযাগ করেছি।
টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযাগ করেছেন চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন