সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবারের ঈদে ঝঞ্জালমুক্ত নান্দনিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন পর্যটকরা। এখন থেকে সমুদ্র সৈকতের সোন্দর্য বর্ধন রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসন।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরোপয়েন্ট এলাকা হতে পূর্বে ও পশ্চিমে এক কিলোমাটারের বাইরে জাল নৌকা স্থানান্তর করাসহ বীচ বাইক, মটর বাইক প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয় এবং সৈকতের ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আধা কিলোমিটার পূর্বে নির্দিষ্ট স্থানে বসানোর মাধ্যমে পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষা করে পর্যটকদের মনোরম সৈকত উপহার দিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করেন প্রশাসন। এতে কিছু ভাসমান ব্যবাসায়ীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও অনেক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। দেখা গেছে সৈকতের নিয়ম মানতে আবার অনেককেই প্রশাসনের দেয়া নির্দেশনাকে উপেক্ষা করার ফলে করা হয়েছে অর্থদন্ড।


এর পূর্বে সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশ কয়েক বছরধরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের আধা কিলোমিটার এলাকার মধ্যে যত্রতত্রভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যে যার মতো মনগড়া ভাসমান দোকানপাট বসিয়ে কেনা-বেচা করছে! যা পরিবেশ প্রতিবেশ বিনষ্ট সহ পর্যটন কেন্দ্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পরেছে।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরোপেন্টের দুইদিকে আধা কিলোমিটারে মধ্যেএখন আর পূর্বের সেই বিচ্ছিন্ন পরিবেশ বিরাজমান নেই। তাই বর্তমানের যে ভিন্ন চিত্র তৈরী হয়েছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের তা পর্যটকদের ভ্রমনের জন্য পরিবেশ উপযোগী ও মানসম্মত বলে মন্তব্য করেন আগাত পর্যটক দর্শনার্থীরা।

তবে বর্তমানে সকল ভাসমান ব্যবাসায়ীদের স্থান্তর করা হলেও ঐদিকে অনেকেই জিরোপয়েন্ট এলাকায় সড়কের দুইপাশে আবারো দোকান বসানোর পায়তারায় টেবিল, চেয়ার-বাক্স গেড়ে এখনো বসে আছে, এতে কুয়াকাটা পর্যটনের প্রধান কেন্দ্রস্থলে পরিবেশের অনুপযোগী হিসেবে সরেজমিনে দেখা গেছে। এসব অবৈধ দখল একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট পরিচালনা করছে বলে সূত্রে যানা যায়।