বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইউপি সদস্য কর্তৃক ভুমিহীনের জমিতে বালু ভরাট করে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায় উপজেলার হারতা ৭নং ওয়ার্ডের মৃত কালিচরন হালদার ৫৫৯,৪০৯৩,৭৫৫৩ নং দলিল মূলে ১৩ নং হারতা মৌজায় ৫০৪নং খতিয়ানে ২২০৯ নং দাগে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে। তিনি মৃতবরন করার পরেও পরিবারের সদস্য ওয়ারিশগনরা ভোগদখল করে আসছে। এছাড়া তার স্ত্রী মায়া রানি হালদারের নামে ভুমিহীনের ৭৬৪নং দলিলের ৮৭৪নং খতিয়ানে ৪ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। তবে এক বছর পূর্ব থেকে উক্ত দলিলকৃত ও ভুমিহীনের নামের ১০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে হারতা ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী।
এরপর কোন উপায়ন্তর না পেয়ে অসহায় নারী মায়া রানি হালদার বাদী হয়ে উল্লেখ্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বরিশাল আদালতে ১৪৫ ধারায় বিরোধীয় জমির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং২৮৭/২০২২।
২২ ডিসেম্বর উজিরপুর মডেল থানার এসআই সজিব মন্ডল উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয় তাই সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে মায়া রানির ছেলে সাংবাদিকদের কান্না করে বলেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও আমার পিতার দলিলকৃত ও আমার মায়ের নামে ভুমিহীনের ২২০৯ নং দাগে মোট ১০ শতাংশ জমিতে প্রভাবশালী ইউপি সদস্য নিখিল চক্রবর্তী, ফজিলাতুন্নেছা বেগম, সতীশ হালদার, বিভাষ হালদার, বকুল রানী হালদার, জোস্না বেগম মিলে ক্ষমতার দাপটে জোরপূর্বক বালু ভরাট করে এবং রাতের আঁধারে ঘর উত্তোলন করে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। এমনকি আমাদের স্ব-পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও এলাকাছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। হুমকির মুখে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এছাড়া তাদের ভয়ে আমাদের পরিবারের সকল সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছিনা। আমরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এলাকায় মূর্তিয়মান আতঙ্কের নাম নিখিল বাহিনী। তাদের ভয়ে মুখ খুলেছেনা সাধারণরা। ইতিপূর্বে ওই জমি নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিল। সে ঘটনায় মামলা দায়ের করার পরে নিখিল চক্রবর্তীর ছেলে শাওন চক্রবর্তী হাজতবাস করেছিল। একারণে আমাদের উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। ভুমিদস্যুদের কবল থেকে আমাদের শেষ সম্বল জমিজমা রক্ষা এবং ওই ভুমিদস্যু সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
অভিযুক্ত নিখিল চক্রবর্তী জানান বিরোধীয় জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, যার পক্ষে আদালতের রায় হবে তারাই জমি ভোগদখল করবে।
উজিরপুর মডেল থানার এসআই তরুণ জানান দখলের বিষয়টি জানা নেই, তবে শুনেছি জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।অভিযুক্ত পরিবার প্রশাষনের ঊধ্বতন কর্মকর্তাদের সঠিক তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবি জানান।