
কলাপাড়ায় পৌরশহরের প্রায় সড়কগুলোতেই পথচারীদের স্বভাবিক পথচলাসহ যান চলাচলে দুর্ভোগ যেন কিছুতেই থামছেনা। সড়কের উপর যত্রতত্র পাইপ ফেলে বালু সরবরাহ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবী মেয়র, কাউন্সিলরকে ম্যানেজ করেই পৌরসভার অভ্যন্তরে পাইপ ফেলে সড়ক আটকে বালু ব্যবসা করছেন কালা মিরাজ। তাই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মেয়রকে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না নাগরিকরা। তবে পৌরসভার সচিব বলছেন পৌরসভার অনুমতি ছাড়া সড়ক আটকে বালু ব্যবসা করার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, সড়কের উপর যত্রতত্র ফেলা এসব পাইপে ধাক্কা লেগে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিকশা, অটো, প্রাইভেট, মাইক্রো যান। মাঝে মধ্যে দু/এক পথচারী হোঁচট খেয়ে আহত হচ্ছে। বেশী দুর্ভোগে পড়ছে প্রসূতি নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা। এরপরও কেউ বালু ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী কালা মিরাজের বিরুদ্ধে সাহস করে অভিযোগ দিতে পারেনি।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌর শহরের ভূমি অফিস সড়ক, অফিস মহল্লা, রহমতপুর এলাকা, সমাজকল্যান-রহমতপুর-বাসষ্ট্যান্ড চৌরাস্তা সড়কে এ অবস্থার যেনো শেষ নেই। মাসের পর মাস ধরে স্থাপনা তৈরী, নিচু জায়গা ভরাটকরনে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা শহর সংলগ্ন আন্ধারমানিক ও দোন নদীতে বালু বোঝাই জাহাজ রেখে সড়কে পাইপ ফেলে বালু ফেলছে। ১৫ দিন, ১ মাস বালু সরবরাহ বন্ধ থাকলেও লেবার খরচ সাশ্রয়ে সড়ক থেকে অপসারন করা হচ্ছে না বড় বড় সাইজের এ পাইপগুলো। এতে যান চলাচল, পথচারীদের দুর্ভোগ হলেও তাদের কোন ধরনের মাথা ব্যথা নেই।
পৌরশহরের অটো চালক আব্বাস উদ্দিন বলেন, বালুর পাইপের কারনে শহরে ঠিকমত অটো চালাতে পারিনা। পাইপের উপর দিয়ে গাড়ী ওঠা নামায় যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যা নিয়ে আমরা কার কথা কমু ? কেউই কালা মিরাজের ভয়ে মুখ খুলতে চায় না।
বালু ব্যবসায়ী কালা মিরাজ জানান, জাহাজ এলে আর ১ জাহাজ বালু ফেলেই ১০-১২ দিনের মধ্যে পাইপ সরানো হবে।
কলাপাড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির বলেন, কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন