
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রকল্পের কাজে স্ত্রীসহ-স্বজনদের নিয়োগ দিতে না পারা এবং নিজের নানা অনৈতিক কর্মকান্ডকে ধামাচাপা আড়াল করতে অর্থনৈতিক শুমারীর টাকা অতœসাতের কল্পিত কাহিনী উপস্থাপন করে প্রকল্পের কাজে বাঁধাদান করছেন উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম। এমন অভিযোগ সংশ্লিস্ট অফিসের। অভিযোগে আরো বলা হয়, স্থানীয় প্রতিপত্তিকে কাজে লাগিয়ে অফিসের কার্যক্রম পরিশেষ বিঘিœতসহ কর্মীদের সাথে আশোভন আচরন করছে সাইফুল।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, শুমারীর কার্যক্রম অনুযায়ী সুপারভাইজার ও গণনাকারীদর বাড়ী বাড়ী গিয়ে সরাসরি সাক্ষাৎকার নিয়ে ট্যাবের মাধ্যম তথ্য সংগ্রহ করে তাৎক্ষনিকভাবে এন্ট্রি করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম সদস্যদের কাগজ কলমে তথ্য সংগ্রহ করার পর অফিস এসে এন্ট্রি করার পরামর্শ দিচ্ছে। যা প্রকল্পের চলমান কাজের সম্পূর্ন বিপরীত, সুষ্ঠ কার্যসম্পাদনে বাঁধাদান। এছাড়াও সুপারভাইজার ও গণনাকারীদর সাথে অনৈতিক ও খারাপ আচরনের নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম।
রবিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম যোগদানর পর থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন পদে স্ত্রীসহ স্বজনদের নিয়োগদানে মরিয়া হয়ে ওঠেন। শুধু তাই নয়, গণনাকারী হিসাব নিযে অতিরিক্তি দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্ত্রী ফাতেমা ফেরদৌসিকে নিয়োগ দিতে অফিসকে বাধ্য করেন। এই সম্মানী ভাতা ও প্রশিক্ষনভাতা নিজ ও স্ত্রী স্বাক্ষর প্রদান কর গ্রহন করলেও উপজেলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা না দেয়ার মিথ্যা অভিযাগ তুলে ধরে হয়রানির চেষ্টা করেন।
এবিষয়ে আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, স্যারের সাথ আমার সব কিছুর ফয়সালা হয়ে গেছে।
কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান, অনৈতিক কর্মকান্ড, কর্মীদের সাথে খারাপ আচরন, স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পে নিজ আতœীয়দের নিয়োগসহ প্রকল্পে নীতিমালা অনুয়ায়ী মাঠকর্মীদের কাজ করতে নিরুৎসাহিত করে আসছিলেঅ। যা কর্মচারী নীতিমালার বিপরীত। উর্ধতনদের জানানো হয়েছে। তারা এবিষয় ব্যবস্থা নিবেন।
মন্তব্য করুন