বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রবিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থেকে দুপুর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। হালকা বৃস্টির সাথে মাঝে মধ্যে দমকা বাতাস বৃদ্ধি পাচ্ছে।

একমাত্র সুগন্ধা নদীর পানি বেড়ে খালে প্রবেশ করে জমিতে পানি উঠে গেছে। মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পরছে রেমালের অজানা আশংকার কারণে।

ঘূর্ণিঝড় মুরুর আগেই লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিংসহ করে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. মোশারফ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় মাইকিং করে জনসচেতনতার পাশাপাশি জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আগৈলঝাড়ায় ১২টি সাইকোন শেল্টার, ৯৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪১টি স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা ও ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ মোট ১৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দুর্যোগের সময়ে দুর্গতদের পাশাপাশি গবাদীপশুও নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে পারবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারিহা তানজিন জানান, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় শনিবার প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম। সকল কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোকজন আশ্রয় নেয়া শুরু করলে তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।