
নওগাঁর আত্রাইয়ে কাঁচা বাজারে আগুন, ক্রেতারা বিপাকে। স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন বাঁচানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ছে। খেটে খাওয়া মানুষের হাতের নাগালের বাহিরে বেগুন,শশা,পটল,ঢ়েড়স,মিষ্টি কুমড়া,শজিনা ডাটা সহ সবরকম সবজির দাম। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে কাঁচা বাজারের পাশাপাশি মাছ মাংস দুধ ডিমের দাম। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের যেন বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। অনেকে হাটে এসে কাঁচা বাজার না করেই খালি ব্যাগ হতে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আবার কেউ বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আত্রাইয়ের ঐতিহ্যবাহী আহসানগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, কাঁচা বাজারে সবজির দাম শুনতেই নাভিশ্বাস নিচ্ছে ক্রেতারা। বাজারে বেগুন ৭০ টাকা কেজি,দেশী ছোট আলু ৬০ টাকা কেজি,বড় হলেন্ডার আলু ৩৫টাকা কেজি,পটল ৮০টাকা কেজি,পেঁপে ১১০টাকা কেজি, বেগুন ৯০টাকা কেজি,তরাই ৭৫টাকা কেজি,কড়লা ১০০টাকা কেজি,পিঁয়াজ ৭০টাকা,আদা ৩২০টাকা কেজি,কাঁচা মরিচ ১৬০টাকা কেজি,মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৮০টাকা,পুইশাক ৩৫টাকা কেজি,শশা ৫০টাকা কেজি। অন্যদিকে রুইমাছ ২৪০টাকা কেজি,কাতলামাছ ২৫০টাকা কেজি,সিলভার মাছ ২০০টাকা কেজি, টেংরা মাছ ৬০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ফলে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতির জন্য মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের বেঁচে থাকায় দায় হয়ে পড়েছে।
বাজার করতে আসা নিম্ন আয়ের সাজেদুল জানান, বাজার করতে এসে তরিতরকারির দাম শুনে হতাশ হয়ে বাজার সাধ্যের মধ্যে অল্প বাজার নিয়ে বাড়িতে ফেরত যাচ্ছেন। তিনি সারাদিনে কাজ করে পারিশ্রমিক পান মাত্র ৬শ টাকা,আর বাজারে এক কেজি বেগুনের দাম ৭০ টাকা,এক কেজি সিলভারের মাছের দাম ২০০টাকা, আমরা গরীব মানুষ এতটাকা দিয়ে মাছ ও সবজি কিভাবে কিনে খাব বলে চরম হতাশা হয়ে পড়েন তিনি।
ছামসুর আলী নামের আরেকজন ব্যক্তি বলেন,মাছের বাজারে গিয়ে হাঁপ কেজি ওজনের মাছ কিনেছি ১৩০ টাকা দিয়ে, এককেজি পটল কিনেছি ৮০ টাকা দিয়ে। যেভাবে দিন দিন তরিতরকারির দাম বাড়ছে তাতে মানুষের বাজার করে খাওয়া দশদায় হয়ে পড়েছে।
আহসানগঞ্জ হাটের কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী জানান,তারা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে মাল কিনে খুচরা দামে বিক্রি করছেন। তাদের কাছে পাইকারি বাজারে কড়লার দাম ধরা হচ্ছে ৯০ টাকা আর সেই কড়লা খুচরা বাজারে বিক্রি করছি ১০০ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় তারা বেশি দামে মাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন