নওগাঁর রাণীনগরে বিদ্যুৎ এর ঘনঘন লোডশেডিং ও তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ্য হয়ে পড়েছে। মরে যাচ্ছে মাঠের ফসল গুলো। তীব্র লোডশেডিং এর পাশাপাশি তীব্র তাপদাহে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা উপজেলার মানুষের। রোদের প্রখর তাপে বিপর্যস্থ্য জনজীবন। ফলে বিরুপ অবস্থা দেখা যাচ্ছে ফসলের মাঠে গুলো ।

স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, তীব্র দাবদাহে ফসলে পানি দিয়েও জমিতে পানি থাকছেনা। রোদ ও গরমে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। আর তীব্র লোডশেডিং এর কারনে গভীর ও অগভীর নলকূপ থেকে ঠিকমত পানি উঠানো যাচ্ছেনা। এছাড়াও পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সেচের জন্য তুলনামূলক প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছেনা নলকূপ গুলিতে। এতে কৃষকদের চাষ করা বিভিন্ন ধরনের ফসল মরে যাচ্ছে। এর প্রকট প্রভাব পড়েছে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

সরেজমিনে মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে গিয়ে কৃষক জিয়াউল ইসলাম, আবুতাহের, জামাল উদ্দিন ও সাহিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, তীব্র তাপদাহ থেকে বোরো ধান রক্ষা করতে পানি প্রয়োজন কিন্তু তীব্র লোডশেডিং এর কারনে পানি ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে তাদের জমির ধান মরার উপক্রম হয়েছে। এসময় আনেকে পাকা ধান মাঠ থেকে উঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিলেও তা পাচ্ছেনা। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা জানান।

ইউনিয়নের জালালাবাদ গ্রামের সবজী চাষী মকবুল, আঃ রহমান জানান, তিনি দির্ঘ্যদিন থেকে বিভিন্ন জাতের সবজির চাষ করে আসছেন। কিন্তু এবারের তাপদাহে তার সবজি ফসল মরে যাচ্ছে। তবে এ বছরের মত তীব্র তাপদাহ তিনি কখনও দেখেননি বলেন। একই গ্রামের সবজি চাষী ছয়ফর জানান, তীব্র দাবদাহে সবজির বাগান কম ক্ষতি হতো যদি বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং কম হতো।

অপরদিকে, উপজেলার আম চাষিরা জানান, গভীর নলকূপ থেকে ঠিকমত পানি না পাওয়ায় পানির অভাবে সদ্য রোপনকৃত এবং দুই-তিন বছর বয়সের আমগাছ মরে যাচ্ছে। আর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া ও লোডশেডিং এর জন্য দায়ী বলছেন তারা। এবিষয়ে জানতে চাইলে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে আসলে কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে এবং এতে লক্ষমাত্রা অর্জনেও তেমন প্রভাব ফেলবেনা।