বরিশালের মুলাদী উপজেলায় কৃষকদের মাঝে তরমুজের চাষের আগ্রহ বাড়ছে। এ বছর ৬২ একর জমিতে চাষ হয়েছে তরমুজ। গত বছর কৃষক চাষ করেছিল ৩৫ একর জমিতে। উপজেলার কাজিরচর, মুলাদী, সফিপুর ও গাছুয়া ইউনিয়নে তরমুজের ব্যাপক চাষ হয়েছে ফলন হয়েছে ভালো। গাছুয়া ইউনিয়নে চরপৈক্ষায় ৫ জন কৃষক একত্রে ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।

কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা আগে কখনো তরমুজ চাষ করিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় আমাদেরকে বরিশাল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫ বিঘার ৫টি প্রদর্শনী দেয়া হলে এর সাথে আমরা আরো বেশি জমি নিয়ে এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের বীজ, সার ও বালাইনাশক সরবরাহ করেছে।

কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলামের পরামর্শে আমরা গতবছর থেকেই পরিকল্পনা করি তরমুজ চাষ করার। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রহাদুজ্জামান স্যার আমাদের সার্বক্ষণিক তদারকি করেন। তরমুজের পর ঐ জমিতে আউশ ধানের চাষ করা হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার ব্যাক্তিগত একটি ইচ্ছে হচ্ছে মুলাদী উপজেলায় নতুন ফসল অথবা নতুন জাত সম্প্রসারণ করার, এর ধারাবাহিকতায় আমরা কৃষকদের উদ্ভুদ্দকরনের মাধ্যমে, বীজ সহায়তা বা প্রদর্শনী দিয়ে তরমুজের আবাদ বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, গত দুই বছরে তরমুজের চাষ দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়াও আমরা বারি বেগুন-১২, বারি তরমুজ-২, ব্রি ধান-১০৩ এর মত নতুন জাত মুলাদী উপজেলার কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। আমরা চাই নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হোক, যারা উচ্চমূল্য ফসল চাষ করবেন। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের সহযোগীতা করার জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিন বলেন, এখন সময় কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় মুলাদীতে আরো তরমুজের চাষ হবে। চাষির শ্রম বিফলে যাবে না। মুখে কৃষকের ফুটবে হাসি। নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।