
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অবাধে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির টপ সয়েল। আর এসব মাটি যাচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে। এতে একদিকে জমির উর্বরতা কমছে, অন্যদিকে হ্রাস পাচ্ছে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজাহার ইউনিয়নের বানেশ্বর বাজারে পাশ্বে জসিম ও রশিদ মিলে করছে ব্যবসা,মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের নূরুলের বিল, ফুলবাড়ী ইউনিয়নের সাপগাছি হাতিয়াদহ ও ছাতারপাড়া, শাখাহার ইউনিয়নের শহর গছি স্কুলের পাশ্বে,হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা ও ক্রোড়গাছা, কামারদহ ইউনিয়নের চাঁদপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির টপ সয়েল কাটা হচ্ছে।
উপজেলার রামপুরা গ্রামের রমজান আলী জানান, মাটি পরিবহনকাজে নিয়োজিত মাহিন্দ্র ও ট্রাক্টর চলাচলের জন্য জমির মাঝ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। মাটিভর্তি এসব অবৈধ ট্রাক্টর-টলির ভারী চাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কাঁচা-পাকা সড়ক।
উপজেলার বাল্যে গ্রামের ফারুক মিয়া জানান, এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় এক্সকাভেটর ও ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। কিছু বলতে গেলেই নানা ভয়ভীতি দেখায় তারা। তাছাড়া দালালেরা জমির মালিকদের অতিরিক্ত টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই- মাহমুদ জানান, টপসয়েলকে ফসলি জমির প্রাণ বলা হয়। এখানে থাকে মাটির জৈব পদার্থ। টপ সয়েল কাটা হলে জমি তার উর্বর শক্তি হারায়। ফলে দীর্ঘমেয়াদি ফসল উৎপাদনক্ষমতা হারায় ঐ জমি।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি জমির শ্রেণি পরিবর্তন কিংবা জমির টপ সয়েল বিক্রি করতে পারবে না। এই নিয়মের বাইরে গিয়ে কেউ জমির মাটি কেটে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন