কুড়িগ্রামের রাজারহাটে কালীরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে পাতানো কমিটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন কর্মচারীর পদ শূন্য দেখিয়ে আয়াসহ ৪টি পদে ৪০ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের পাতানো কমিটির নিয়োগ বাণিজ্যের বলি হয়েছেন প্রতিষ্ঠাকালীন তিন কর্মচারী।

২০২১ সালের নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নতুন পদ সৃষ্টি হওয়ায় পূর্বের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী এমপিও ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি হলেও প্রধান শিক্ষক তার পাতানো কমিটির মাধ্যমে নতুন জনবল নিয়োগ প্রদান করেন। এঘটনায় চাকুরীচ্যুত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন নৈশ্য প্রহরী নাজিমখান ইউপির সোম নারায়ন গ্রামের অনিল চন্দ্র বণিক,মৃত আবদুল ছাত্তার সরকারের পুত্র পিয়ন সুরুজ্জামান, ঝাড়ুদার আবদুল মতিন কুড়িগ্রাম মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর যৌথ অভিযোগ করেন।গত ২৫ জানুয়ারি পুন:নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদ করায় মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি ঘটনায় রাজারহাট থানায় ডায়েরি করেন আলী বকস নামের একজন শিক্ষক।বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন পরবর্তীতে নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত হলেও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় দীর্ঘদিন মানবেতর জীবনযাপন করেন তিন কর্মচারী।

প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদের পাতানো কমিটিতে তৃতীয় দফায় বিদ্যালয় গভর্নিং বডির সভাপতি হয়েছেন বড়ভাই রুহুল আমিন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নুর ইসলাম এবং নিকটতম আত্মীয় রফিককে দাতা সদস্য করে পাতানো কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে এ বাণিজ্য করেন।

অভিযোগকারীরা জানান, প্রধান শিক্ষকের ভাই আমেরিকা প্রবাসী হয়েও কর্মস্থলে উপস্থিত না থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। এবিষয়ে কালীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চেয়ে মুঠোফোন বন্ধ রাখা ও বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাজারহাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রব বলেন পূর্বের নিয়োগের বিষয়ে আমার জানানেই। বিষয়টি জানার পরে প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি।পরীক্ষার্থী কতজন উপস্থিত ছিলেন জানতে চাইলে তিনি জানান ৪ পদে ১২জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

এবিষয়ে গভর্নিং বডি সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, পুর্বের নিয়োগের বিষয় আমি জানিনা হেডমাস্টার জানবেন। নিয়োগ যদি অবৈধ হয় তাহলে পিয়নরা যা খুশি তাই করবে।কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামসুল আলম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন অভিযোগ তদন্ত শেষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।