পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বেতমোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ওসি, কলাপাড়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরের দিকে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত এ আদেশ প্রদান করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মাহবুব মিয়া এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বেতমোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি সুমন তালুকদার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব উল্লাহ (লিটন) ও সহকারী শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ১৭জুন ২০২৩ আসামীদের পরস্পর যোগ-সাজশে প্রধান শিক্ষক তার ব্যবহৃত মুঠো ফোন থেকে মামলার বাদীকে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচিত করে দেয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন।১৮ জুন প্রধান শিক্ষকের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নং- ৪৩১১১০০১১১০৬৯, সোনালী ব্যাংক, কলাপাড়া বন্দর শাখায় দাবীকৃত টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকাজমা দেয়া হয়। এরপর চেকের মাধ্যমেও তাকে দাবীকৃত চাঁদা টাকার ১ লক্ষ ৭০হাজার টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু আসামীরা দাবীকৃত চাঁদার সমুদয় টাকা নাপাওয়ায় তাঁরা ৩১ আগষ্ট ২০২৩ অপর একজনকে সভাপতি নির্বাচিত করে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে অনুমোদনের জন্য পাঠায়।

এছাড়াও এদিকে একই দিন বেতমোর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সিনিয়র সহকারী জজ মো. আনোয়ার হোসেনের আদালত বিবাদীদের আগামী ৫ কার্য দিবেসের মধ্যে কারন দর্শানোর আদেশ প্রদান করেছেন। মামলায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, বোর্ড পরিদর্শক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিবাদী করা হয়েছে। সহকারী জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মিজানুর রহমান এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।