কলাপাড়ায় জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধানখালী ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাছুয়াখালী গ্রামের জাকির গাজী ও মোহন গাজী আপন দুই ভাই, আর মিলন গাজী তাদের সৎ ভাইয়ের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। বুধবার বিকালে মিলন গাজীর মা খাদিজা বেগম ও তার বোন রুবিনা বিরোধীয় জমিতে গাছ রোপন করে জাল দিয়ে বেড়া দেয়।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মোহন গাজী ওই জাল সরাতে গেলে তাদের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতন্ডা হয়।
পরে মিলন গাজীর স্বজন নান্টু হাওলাদার, নয়ন গাজী, বশার হাওলাদার, ফেরদৌস খাদিজা, রুবিনা ও অরুনা বেগম দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় মোহন গাজী (৪০), তার বড় ভাই জাকির গাজী (৪৫), স্ত্রী তানিয়া (২৮) ও সৌরভ গাজী (১৭) সহ অন্তত ০৮ জন আহত হয়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে মোহন গাজীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আর জাকির গাজীর মুখে ঘুষি মেরে একটি দাত ফেলে দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় কাতর আহত মোহন গাজী বলেন, আমাদের বাড়ির এ জমি নিয়ে শালিস হয়েছে। কিন্তু জমিজমা ভাগ হয়নি। তার আগেই মিলন গাজী বিরোধীয় জমিতে গাছ লাগিয়েছে এবং জাল দিয়ে বেড়া দিয়েছে। আমি সকালে জাল সরাতে গেলে তারা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চাই।
এবিষয়ে মিলন গাজী জানান, আমার বাবাকে তারা প্রথম মারধর করেছে। আমি বাবাকে বাচাতে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে। পরে তারা নিজেরা হাসপাতাল গিয়ে ভর্তি হয়েছে। আমরা তাদের কোন মারধর করিনাই।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।