বরগুনার তালতলীতে মামলা না তোলার কারণে ধর্ষিতাকে মারধরসহ দুই পা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদার বিরুদ্ধে ।
পরে আহত ঐ নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার । গতকাল রবিবার (০২ জুন) সন্ধা ৭টার দিকে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মঠখোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঠখোলা এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ছোটবগি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনায়েত পিয়াদা।
এতে রাজি না হওয়ায় চলতি বছরের গত ৮ এপ্রিল রাতে ইউপি সদস্যসহ ৫-৬ জন সিঁধ কেটে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার হাত-মুখ ও পা রশি দিয়ে বেঁধে ইউপি সদস্যসহ একাধিক ব্যাক্তি ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ অজ্ঞাত পরিচয় চারজনকে আসামি করে ভুক্তভোগি নারী বাদী হয়ে তালতলী থানায় মামলা করেন।
পরে ইউপি সদস্য আদালতে হাজিরা দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পরে জামিনে বের হয়ে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে আসছেন ইউপি সদস্য । মামলা তুলে না নেওয়াতে গতকাল সন্ধা ৭টার দিকে বাদীকে একা পেয়ে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদাসহ তার লোকজন বেধরক মারধর করেন। এক পর্যায়ে রড দিয়ে বাদীর দুই পায়ে আঘাত করেন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে রিপোর্টে তার দুই পা ভেঙ্গে যাওয়ার বিষয়টি দেখা গেলে কর্তরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে বরিশাল তার পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এবিষয়ে বাদী বলেন, গনধর্ষন মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে এনায়েত মেম্বার সহ তার সাথের লোকজন । আমি মামলা না উঠালে তিনি আমার ওপর হামলা করে। আমার দুইটি পা ভেঙ্গে গেছে। আমি এর বিচার চাই।
তবে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি মিথ্যা বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেয়।
তালতলী হাসপাতালের কর্তরত চিকিৎসক স্যায়িদ হাসান সোহাগ বলেন,রোগির দুইটি পা ভেঙ্গে গেছে। এজন্য তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।
এবিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুপমা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে তালতলী হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানের রিপোর্টে দুই পা ভাঙ্গা দেখা গেলে প্রথমে বরিশালে এর পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।