আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক ভোট নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনে তরুণদের আত্মত্যাগের পর অর্জিত গণতান্ত্রিক বিজয়কে ধরে রাখতে দলীয় কর্মীদেরর দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা জরুরি।

আসন্ন নির্বাচন দেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মানুষ যেনো উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারে এবং রাজনৈতিক দলগুলো নির্বিঘ্নে প্রচার-সমাবেশ চালানোর সুযোগ পায়। একটি অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে। দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তিতে বসবাসযোগ্য একটি রাষ্ট্র নির্মাণের লক্ষ্যেই ২৪ এর জুলাইয়ে গন আন্দোলন হয়েছিল।

মঙ্গলবার বিকেলে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কারো আচরণ ও কর্মকাণ্ডে যেন আগের স্বৈরাচারী শাসনের মতো কোনো আচরণ পরিলক্ষিত না হয়। কারন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার দাপটে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেল হাজতে কারা বাস করিয়েছেন, জামায়াতের নেতাদের ফাঁসি দিয়েছেন, দেশকে তার নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন—তবে আমি স্বাধীনভাবে এই দাবি যাচাই করতে পারিনি। তার মতে, কেউ যদি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে চায়, তবে অতীতের রাজনৈতিক পরিণতি তাদের সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করা উচিত।

গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে জানান, তারা সমঝোতার ভিত্তিতে একটি নির্বাচনে অংশ নিতে চান, যেখানে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় করে আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে নির্বাচন করবে। এতে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রগঠন ও নীতি নির্ধারণে যৌথভাবেো কাজ করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তবে তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতার অতি-উৎসাহী আচরণের কারণে জাতীয় ঐক্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে নতুন সংকটও তৈরি করতে পারে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের পাশাপাশি নির্বাচনের পরও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকের মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হবে—যদি তিনি নির্বাচিত হন।