জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনের আগে ৫ দিন, নির্বাচনের দিন এবং পরে ৩ দিন—মোট ৮ দিন বিশেষ নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনের রদবদল লটারির মাধ্যমে করা হবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার পটুয়াখালী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে, রোজার আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর দেশের সব প্রশাসনিক পদে লটারির মাধ্যমে রদবদল করা হবে, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ বিষয়ে উপদেষ্টা আরো জানান, নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। ৮ দিনব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা অভিযানে মোট ১০ লাখেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের মধ্যে থাকবেন ১ লাখ সেনাসদস্য, ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য, ৩৫ হাজার বিজিবি সদস্য, ৫ হাজার নৌবাহিনীর সদস্য, ৪ হাজার কোস্ট গার্ড সদস্য, ৮ হাজার র‍্যাব সদস্য এবং ৫ লাখ ৫০ হাজার আনসার সদস্য।

এছাড়া, তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে এবং অনেক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।”

এর আগে, পটুয়াখালী সফরকালে উপদেষ্টা পটুয়াখালী কোস্টগার্ড বেইজ ‘অগ্রযাত্রা’ এবং জেলা পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করেন। পরে তিনি কুয়াকাটার উদ্দেশে রওনা দেন, যেখানে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌপুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি জানান, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ নজরদারি থাকবে এবং দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।