দ্রুত এগিয়ে চলেছে নওগাঁর রাণীনগর হয়ে নাটোর জেলার কালীগঞ্জ যাওয়ার ২২কিলোমিটার সড়কের পাঁকাকরনের কাজ। ইতিমধ্যেই পুরো সড়কের প্রায় ৮০ শতাংশ পাঁকাকরনের কাজ শেষ হয়েছে। নওগাঁ সড়ক বিভাগ ও নওগাঁ-০৬ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য,শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও রাণীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি’র জোরালো প্রচেষ্টায় দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর পর নতুন করে কাজের দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করার পর থেকে শুরু হয়েছে এই কাজ। সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে নওগাঁসহ বগুড়া, নাটোরসহ কয়েকটি জেলার লাখ লাখ মানুষ নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুব সহজেই চলাচল করতে পারবেন বিশেষ করে ধান অধ্যুষিত অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষকরা বেশি উপকৃত হবেন। এমপি হেলাল বলেন,গত ২০১৮ইং সালের শেষের দিকে সড়কটি আরো প্রশস্তকরণ,টিকসই ও মজবুতকরণের জন্য নতুন করে পাকাকরণের টেন্ডার দেওয়া হয়।এতে ২২কিলোমিটার সড়ক,২৯টি সেতু-কালভার্ট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০৫ কোটি টাকা।ওই বছরই সড়কের সমস্ত কার্পেটিং তুলে কোন রকমে রোলার দিয়ে ফেলে রাখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এছাড়া হসেতু- কালভার্ট নির্মাণের কাজ অব্যাহত থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না করে বার বার সময় চেয়ে আবেদন করতে থাকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পাকাকরণের জন্য ৩৮কোটি ৩৪ লক্ষ ২০হাজার ৫শত ৮১টাকা ৮৩ পয়সা ব্যয় ধরে টেন্ডার অন্তে নতুন কার্যাদেশ জারি করার মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে এম এ জাহের লিমিটেড এই কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায়। ঈদের আগেই উন্মুক্ত হচ্ছে রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কের পাঁকাকরণের কাজ। তিনি বলেন,সড়ক যখন খারাপ ছিলো তখন রাণীনগর থেকে আবাদপুকুর মাত্র ১৪কিমি রাস্তা যেতে সময় লাগতো ১থেকে দেড় ঘন্টা যেখানে নতুন সড়ক হওয়ার কারণে সময় লাগছে মাত্র ১০-১৫মিনিট।তবে এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সকলের প্রতি বিশেষ ভাবে অনুরোধ করবো যেন সড়কের কাজ যেভাবে কাগজে বলা হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে সম্পন্ন করা হয় যাতে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে এই সড়কের আর মেরামত কিংবা সংস্কার করার প্রয়োজন না হয়। নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,রাণীনগর থেকে আবাদপুকুর হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ২২কিলোমিটার সড়ক স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে প্রথম পাকাকরনের কাজ করা হয়। এরপর রাস্তায় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং এলাকার জনমানুষের জীবনমান উন্নয়নে এলজিইডি থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগে স্থানান্তর করা হয় সড়কটি। পথযাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণেরা বলেন,গত ৬বছর ধরে যে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তা বর্ণনা করার মতো নয়।অবশেষে ভোগান্তি নামক সেই দুঃখের আগুনে শান্তির পানি দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে উন্নয়নের মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করতে চলেছেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এমএ জাহের লিমিটেডের মুখপাত্র ও সাইড ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন,দীর্ঘ দুর্ভোগ থেকে এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে মুক্ত করতে আমরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে কাজকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আশাবাদি আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে আবাদপুকুর পর্যন্ত ১৪ কিমি রাস্তার পাঁকাকরণ কাজ শেষ করতে পারবো। ইনচার্জ আরও বলেন,আর ঈদের পর আবাদপুকুর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত কাজ শুরু করা হবে। আমরা সড়ক বিভাগের সার্বিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সিডিউল মোতাবেক কাজ করছি। আমরা আশাবাদি আগামী জুনের মধ্যেই সড়কের সকল কাজ শেষ করে সড়ক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা ইনশাল্লাহ্।