
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও তালতলী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেলা ১২ টায় উপজেলা পরিষদের পায়রা সম্মেলন কক্ষে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব ফিরোজ আলমের সঞ্চালনায়,ইউ এন ও সিফাত আনোয়ার তুমপা’এর সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহাম্মাদ সাইফুল হাসান। এ সময় তিনি
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালায় যুক্ত হয়ে গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন বিষয়ে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। এবং তালতলী উপজেলায় পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
কর্মশালায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা তালতলী উপজেলাকে পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় একটি সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, , শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের নিজ নিজ অভিমত ব্যক্ত করেন।
নদী ও সাগর বন জঙ্গলে বেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এ উপজেলাটিতে রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। প্রায় চার শত বছরের পুরনো রাখাইনদের ইতিহাস ঐতিহ্য, সুন্দরবনের একাংশের বিশাল বনভূমি নিয়ে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য টেংরাগিরি ইকোপার্ক,
তিন নদীর মোহনায় নদীর ঢেউ ও সবুজ ঝাউবনে ঘেরা শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত,নদী ও গাছের বিশাল সমাহার নিয়ে নিদ্রা ডিসি পয়েন্ট, আর সব চেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো এখান থেকে মাত্র ৬৫ কিলোঃ দক্ষিণে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড! বঙ্গোপসাগরের গভীরে অতল এক খাদ এটা। এখানে ঘুরে বেড়ায় ডলফিন, তিমি আর অসংখ্য জলজ প্রাণী। অ্যাডভেঞ্চারের নেশা যাদের রক্তে, এই তথ্যটুকুই তাদের জন্য যথেষ্ট।যাতায়াত ও পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার, থাকা ও খাওয়ার সু-ব্যবস্থা, রাস্তা- ব্রিজগুলো মেরামত এবং পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করা গেলে এখানে দিনদিন পর্যটক আরো বাড়বে। সি-বিচ, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত, প্রাকৃতিক বন ও বন্যপ্রাণী সব মিলিয়ে কক্সবাজার ও কুয়াকাটাকেও হার মানিয়ে দিয়ে তালতলী হয়ে উঠতে পারে বরিশাল বিভাগের সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এমনটাই মনে করছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
মন্তব্য করুন