বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুতে ধীরগতি থাকলেও ধীরে ধীরে তা বাড়ছে বলে একটি জাতীয় দৈনিককে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন করিব।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ভোট শুরুর পর প্রথম ২ ঘণ্টায় সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট ভোটের ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ পড়েছে। এরপর পরের ঘণ্টায় তা বেড়ে ২২ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ভোট পড়ার হার আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ভোট গ্রহণে ধীরগতির কারণ হচ্ছে এবার প্রথম ইভিএমে ভোট হচ্ছে সব কেন্দ্রে। ভোটাররা ইভিএমে অভ্যস্ত না হওয়ায় শুরুতে ধীরগতি ছিল। বিশেষ করে, নারী ভোটকেন্দ্রগুলোয় এবং বৃদ্ধদের ভোট দিতে বেশি সময় লাগছে। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের এই নির্বাচনে ১২৬টি কেন্দ্রের সব কটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এই সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ আর নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৯৪টি ভোটকক্ষের প্রতিটিতে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর নগরের সাতটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, পুরুষের তুলনায় নারীদের ভোটকেন্দ্রগুলোয় লাইনে অনেক নারী ভোটার দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের অনেকে বলছেন, এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারেননি।

নগরের আমতলা এলাকার সরকারি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেল। তবে ভোট গ্রহণের গতি নেই। কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৭০ জন ভোট দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কাউন্সিলর পদে প্রার্থী রয়েছেন ১১৬ জন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪২ জন।