
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করবে না, এটাই প্রতিজ্ঞা। বাংলাদেশও পথ দেখাতে পারে। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশে উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। এ দেশকে আর কেউ পেছনে টেনে নিতে পারবে না।
আজ রবিবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবনে এই আয়োজনে মোট ৩৭ মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিলে দেশকে আর কেউ পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না। দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এখনকার উন্নয়ন। এর ফলে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পেরেছি যার সুফল করোনাকালীন সময়ে আমরা দেখেছি।
সরকারপ্রধান বলেন, একুশ বছর পর সরকার গঠনের সুযোগ পেয়ে আমি সবার আগে শিক্ষার ওপর নজর দিয়েছিলাম। আমি প্রত্যেক জেলাকে নিরক্ষরমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে যারা আবার ক্ষমতায় আসে তারা আমাদের এই প্রকল্প বন্ধ করে দেয়। আমরাই প্রথম শিক্ষানীতিমালা প্রণয়ন করি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আজ স্বাক্ষরতার হার ৭৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। নিরক্ষতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলাম বলেই করোনা মোকাবিলা করা সহজ হয়েছে। এমনকি করোনায় যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়, তখন অনলাইনের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমার পথ চলা সহজ ছিল না। আমাকে অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারপরও হাল ছাড়িনি। যার ফলে আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৬৫০ শিক্ষার্থীকে ১ হাজার ১২০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা অনলাইন মাধ্যমে অভিভাবকদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৯ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬১ হাজার ৫৬০ টাকা।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩ জাতীয় পর্যায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকপর্যায়ের সেরা ১৫ শিক্ষার্থীর হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন