
পটুয়াখালীর বাউফলে মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক (৪১) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার প্রতিবাদে ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কালিশুরী মাধ্যামিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন সড়কে ঘন্টাব্যাপী ওই মানব কর্মসূচিতে স্থানীয় তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন,কোনো কারণ ছাড়াই প্রকাশ্যে আবু বক্কর ছিদ্দিককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হলো, হত্যা চেষ্টার মামলা হলো। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই একাধিক মামলা রয়েছে।এরপরেও সেই সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। আহত আবু বক্কর ছিদ্দিক কালিশুরী হাওলাদার কম্পিউটার ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও কালিশুরী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি (দক্ষিণ)। তিনি কালিশুরী এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদেরের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,দীর্ঘ দিন ধরে কালিশুরী বন্দর এলাকার মো. মোকলেস সিকদারের সঙ্গে তাঁর আপন বড় ভাই মো. মজিবুর রহমানের বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে মজিবুর রহমানের কালিশুরী কারিমিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়। ওই মাদ্রাসা-সংলগ্ন মজিবুর রহমানের অর্থায়নে নির্মিত জামে মসজিদে তাঁর (মজিবুর) সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে এমন ব্যক্তিরা নামাজ পড়তে গেলে মোকলেস অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। সম্প্রতি প্রতিবেশি অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক মো. আবদুর কাদের (৬৫) ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ওই মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করেন। কারণ তাঁদের সঙ্গে মজিবুরের সম্পর্ক ভালো। এরপরেও গত বুধবার ভোরে আবদুর কাদের তাঁর দুই ছেলে আল মামুন (৩৫) ও আবু বক্কর ছিদ্দিক (৪১) ওই মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। পাঁচটার দিকে মসজিদের অদূরে পুকুরঘাট এলাকায় পৌঁছালে মোকলেস সিকদার (৪৫) ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবু বক্করের ওপর হামলা চালায়। তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু বক্করকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে মোকলেস সিকদার বলেন,‘পূর্ব বিরোধের জেরে তাঁরা (আবদুল কাদের ও তাঁর দুই ছেলে) তাঁকে কিল-ঘুসি মেরেছে। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে তিনি (মোকলেস) চাকু দিয়ে আঘাত করেছেন।’ কি নিয়ে পূর্ব বিরোধ? এমন প্রশ্নের জবাবে মোকলেস বলেন, ওরাই (আবদুল কাদের ও তাঁর দুই ছেলে) তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বিরোধ বাজিয়ে রেখেছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন,‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাঁকে (মোকলেস) গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
-আরএইচবি/কে.বি/১৫.০৪.২০২৩ইং
মন্তব্য করুন