
দখলদার ইসরাইল কর্তৃক যুদ্ধবিরতী ভেঙ্গে ফিলিস্তিনের রাফাসহ বিভিন্ন শহরে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী মহানগর জামায়াত ইসলামী। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সন্ধ্যার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে এ বিক্ষোভ করা হয়।
মিছিল শুরুর আগ মুহূর্তে মিছিলস্থল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের আশপাশের এলাকায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের প্ল্যাকার্ডসহ উপস্থিত হতে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই মিছিলস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জিরোপয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর মনিচত্বর সোনাদিঘীর মোড় হয়ে নগরীর কুমারপাড়া মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার জিরোপয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিল থেকে নেতাকর্মীরা নেতানেহায়ুর শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাও. কেরামত আলীর সভাপতিত্বে ও সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর এ্যাড. আবু মোহাম্মদ সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মাহবুবুল আহসান বুলবুল ও নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, রাবি শিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও মহানগর শিবিরের সেক্রেটারী ইমরান নাজির।
আরো উপস্থিত ছিলেন, এনডিএফের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক একেএম সারোয়ার জাহান প্রিন্স, তৌহিদুর রহমান সুইট প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নগর জামায়াতের আমির মাও. ড. কেরামত আলী বলেন, ফিলিস্তিনে মুসলিম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার বর্বর ইসরাইল। আর আমাদের মুসলিম দেশগুলো চুপ রয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অতিসত্বর সকল মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সরকার প্রধানকেও তিনি হস্তক্ষেপ করার আহবান জানান। সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করা হয়। মিছিলে জামায়াত নেতাকর্মীরা ছাড়াও আশেপাশের মানুষ ও পথচারীরা ফিলিস্তিনের জন্য করা বিশেষ দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, সকাল থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজসহ সাধারণ মানুষের উদ্যোগে ইসরাইল বিরোধী মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। প্রত্যেকটি মিছিলে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
মন্তব্য করুন