পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাচা আবদুল হাকিমের (৪৫) পায়ের রগ কর্তন করেছে ভাতিজা মো. ফয়সাল শরীফ। ঘটনার সময় স্বামীকে রক্ষায় স্ত্রী মোসা: শাহিনূর বেগম (৪০) এগিয়ে আসলে তার উপরও হামলা চালিয়ে আহত করা হয়। সোমবার দুপুরের দিকে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত দুজনকেই কলাপাড়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

স্থানীয় সূত্র ও নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার মো. আজিজুর রহমান জানায়, মেয়েলী ঘটনার সুরাহার জন্য পারিবারিকভাবে তারা আবদুল হাকিমের বাড়ীতে বৈঠকে বসলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চাচাকে কুপিয়ে জখম করে ভাতিজা।

ঘটনার পর থেকে ভাতিজা মো. ফয়সাল (৩০) পলাতক রয়েছে। সে স্থানীয় আক্কেলপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলামা আবদুল মান্নান শরীফের ছেলে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য ফয়সালের স্ত্রী শারমিন এবং মাতা আনজুমানাকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যা এলাকার অনেকের কাছে মূল ঘটনাকে ধামা-চাঁপা দেওয়ার জন্য একটি সাজানো নাটক বলে অনেকে উল্লেখ করেন।

অপরদিকে কলাপাড়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সী বিভাগ সূত্রে জানায়, আহত হাকিমের ডান পায়ের রগ কর্তনসহ তার গলার বুকের দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ফয়সালের পিতা আবদুল মান্নানকে তার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি নিজে অসুস্থ বলে মোবাইল কল কেটে দেন। তবে মূল অভিযুক্ত মো. ফয়সালকে তার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন কানুন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।