
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জন অসুস্থ হয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। মৃত ব্যক্তির নাম শাকিল হোসেন (২৩),পিতা মৃত শহিদ আলী ও রমিজ উদ্দিন(২৭), পিতা মনি মাঝি। তারা উভয়েই পাশ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলো নদী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
অসুস্থদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম,শিল্পী খাতুন,কদভানু খাতুন,শের মাহমুদ,সোহেল রানা ও পলাশ হোসেন সবাই ছাইকোলা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকালে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বাওনজান ইরি-বোরো প্রকল্প এলাকায়। মৃত ও অসুস্থ ব্যক্তিরা সবাই ধানকাটা শ্রমিক। তাদের সাথে কয়েকজন নারী শ্রমিক রয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, মঙ্গলবার বিকালে শ্রমিকেরা মাঠে ধান কাটছিলেন। হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টির শুরু হলে শ্রমিকেরা বোরো প্রকল্পের একটি স্কীমের ছাপরা ঘরে আশ্রয় নেন। তখনই কয়েকটি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। একটি বজ্র ঐ ঘরের উপর পতিত হলে ঘটনা স্থলে দুজন শ্রমিক মারা যান। বাকিরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য প্রকল্পের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আসিফ বলেন, বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজনের অবস্থা ক্রিটিক্যাল বলে জানিয়েছেন। এছাড়া মঙ্গলবার বজ্রপাতের পৃথক দু’টি ঘটনায় উপজেলার ছোট বিশাকোল উচ্চ বিদ্যালয় ও আল্লাহবাদ দাখিল মাদ্রাসার পাঁচজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বজ্রপাতের ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে মৃত ব্যক্তিসহ যারা অসুস্থ তাদের দেখেন ও সমবেদনা জানান ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ গোলাম হাসনাইন রাসেল ও পাবনা জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য মোছাঃ আফিয়া সুলতানা আখি।
এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাশিদুল ইসলাম বলেন, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও নিহত দুই যুবকের সুরতহাল করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন