পটুয়াখালীর আউলিয়াপুর এলাকার অফিসের হাট ৫ নং ওয়ার্ড ছোট আউলিয়াপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে পিতা পুত্রকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করছেন আউলিয়াপুর ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক চৌকিদার (বর্তমান মেম্বার) ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে। একই বাড়ীর আব্দুস ছালাম চৌকিদারের সাথে ও ফারুক মেম্বারসহ তার ভাইদের সাথে। ফারুক মেম্বার দীর্ঘদিন আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেন আসছেন।

আওয়ামীলীগের হাসিনা সরকার পতন হওয়ার পরপরই আপন ছোট ভাই জেলা যুবদল নেতার ছদ্দছায়ায় এলকায় আবারও সন্ত্রাসী তান্ডব কার্যক্রম শুরু করেন। আওয়ামীলীগ নেতা সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতাদের মদদ দাতা ফারুক মেম্বার।

গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বাড়ি থেকে বাজারে আসার উদ্দেশ্য রওনা দিয়ে আসেন আব্দুস ছালাম চৌকিদার। বাড়ির কাছেই বাজার ও গরুরহাট যুবদল নেতা জহির গরুর হাটের ইজারাদার বাজার বাড়ির নিকটতম হওয়ায় ছালাম চৌকিদার বাজারে আসলে জহিরের সাথে জমি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে সেখানে আউলিয়াপুরের সাবেক শ্রমিক লীগের আহবায়ক ও বর্তমান ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক চৌকিদার ওরফে মেম্বার ফারুক ঘটনা স্থলে এসে ছালাম চৌকিদারকে মারধর শুরু করলে পিতাকে মারতে দেখে ছেলে রানা চৌকিদার ছুটে আসেন, তখন রানাকে ফারুক মেম্বারের নির্দেশে যুবদল নেতা জহিরসহ ফারুক মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী রানা ও তার পিতা ছালাম চৌকিদার কে মাথায় কোপ দিয়ে মারাক্তক জখম করে। রানা পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক।

এলাকা সূত্রে জানাযায়, রানা ওতার বাবা আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে আসতে চাইলে ফারুক মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান মোজাম্মেল চৌকিদার ওরফে গাঁজা মুজু তখন পথ আটকিয়ে রাখেন, রানা তখন তার সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন কে ০১৭১৩৬৭৪১৩৭ নাম্বারে ফোন দিয়ে বলেন, ভাই আমাকে ও আমার বাবাকে কুপিয়েছে। তখন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদর উপজেলার আহবায়ক সুজন ছুটে গিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন, রানা ওতার বাবাকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসাপাতালে ভর্তি করেন। এবং রানার অবস্থা আশংকাজনক থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশালে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করেন, সেখান থেকে শেবাচিম কর্তব্যরত চিকিৎসক রানার অবস্থার অবন্নতি দেখলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল রেফার করেন, রাত ২ টার সময় রানার মাথার অপরেশন করে মাথার খুলি ডাক্তার খুলে ফেলেন। রানা এখন মৃত্যুর সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছেন।