ফেনীর মহিপালে গনহত্যার অন্যতম আসামী সন্ত্রাসী নিজাম উদ্দিন পুলককে গ্রেফতার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেনী শহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিগত ৪ আগষ্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামীলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডারদের গুলিতে সাইদুল ইসলাম শাহী( ২১)। তার পিতার দায়ের করা হামলার আসামী ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীলের বিশ্বস্ত সহচর ও ক্যাডার ছিলেন নিজাম উদ্দিন পুলক। নিজাম উদ্দিন পুলক কালিদহ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর আলী আকবর বাড়ীর মফিজুর রহমানের ছেলে। সে কালিদহ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ছিলেন। পুলক কালিদহ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডালিম, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রিন্টু ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বাহাউদ্দিন বাবলুর বিশেষ সহচর ছিলেন। সন্ত্রাসী পুলক প্রবাস থেকে ফিরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে মাদক ব্যবসা,টেন্ডারবাজি, অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত অঢেল সম্পত্তির মালিক বনে যায়। তার প্রভাব আধিপত্য বিস্তারে কালিদহ এলাকাবাসী আতঙ্ক বিরাজ করত। ফেনীর এস এস কে রোডের পাঠানবাড়ী মুমিন জাহান সংলগ্ন দক্ষিন পশ্চিম পাশে মমতাজ ভবন ৫ তলা বাড়ি, ফেনীর দাউদপুলে একটি স্কুল গড়ে তোলেন যার নাম পুলক বিদ্যা নিকেতন।এভাবে অল্প সময়ে মাদক ব্যবসার জাল বিস্তার করে অনেক সম্পদের মালিক বনে যায়। সর্বশেষ গত ৪ আগষ্ট আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা একত্রিত হয়ে মহিপালে ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি করেন সন্ত্রাসী পুলক। যাহা বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়। পুলক ৫ আগষ্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন। নিহত সাইদুল ইসলাম ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে বারইয়ার হাট কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। বিগত ৪ আগষ্ট মহিপালে আওয়ামী লীগের ক্যাডার পুলকের ছোঁড়া গুলিতে সাইদুল নিহত হন। গত ১৪ই আগষ্ট বাদী হয়ে সাইদুলের পিতা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোজাম্মেল জানান, সাইদুল মামলার তদন্তে সম্পৃক্ততা থাকায় গতকাল রাতে ফেনী শহর এলাকা থেকে সন্ত্রাসী নিজাম উদ্দিন পুলককে গ্রেফতার করেছে। আগামী রবিবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।