
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা ময়দান থেকে পলায়ন করেনা, তারা সাড়ে ১৫ বছর ধরে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ময়দানে টিকে আছে। খুনি হাসিনা ভাবছিল জামায়াতের কর্মীদের হত্যা খুন করে শেষ করে ফেলবে। আজ বুমরাং হয়েছে। রাজনৈতিক কারনে আল্লাহর দেয়া নেয়ামত পর্যটন নগরীকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, মেধা ও সততার কবর দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার ব্যর্থ রাষ্ট্র গঠন করার পায়তারা করছিল, কিন্তু তা ধূলিসাৎ করে আজ স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে আমাদের এ দেশ। ভয়ের দিন, চাঁদাবাজি-দখলবাজির দিন শেষ সম্ভাবনার বাংলাদেশ। জামায়াত ইসলামীর কোন নেতার বিরুদ্ধে কোন সরকার এক টাকার দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি। সৎ মানুষরাই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।
আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, কলাপাড়া উপজেলা দক্ষিণ জোনের উদ্যোগে কুয়াকাটা পর্যটন ইয়ূথ ইন চত্বরে আয়োজিত কর্মী সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার আমাদের প্রকাশ্যে কোনো ধরনের মিছিল-মিটিং করতে দেয়নি। তাই আমরা এই প্রথমবারের মতো কুয়াকাটায় প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলন করতে পেরেছি এবং আমরা সবাই মিলে একসাথে আল্লাহু আকবার ধনী উচ্চারণ করতে পাড়ছি।
প্রথমবারের মতো কুয়াকাটায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর আয়োজিত কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মুহম্মদ শাহ আলম, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম খান, অ্যাড. নাজমুল আহসান, সেক্রেটারি অধ্যাপক এ.বি.এম সাইফুল্লাহ, কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল কাইউম,শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের পুরোহিত ইঞ্জিনিয়র নিহার রঞ্জন, মিশ্রীপাড়া সীমা বৌদ্ধ বিহারের পুরোহিত উত্তম মাহাথের সহ জেলা, উপজেলা, থানা ও বিভিন্ন ইউনিটের শত শত নেতাকর্মীরা।
এসময় বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে দুর্নীতির সর্বরাজ্যে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য জামায়তের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার। বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করতেই ৫৭জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি। কিন্তু তারা জামায়াতের অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই রোধ করতে পারেনি। এসময় তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাণিজ্য লুট করে নিয়েছেন জমি দখল করেছেন এমন কোন নিকৃষ্ট কাজ নেই যা তারা করেনি। আজ বাংলার জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জামাত ক্ষমতায় এলে সংখ্যালগুদের এ দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। জামাতে ইসলামের কাছে সবাই নিরাপদ থাকবে। কারন ইসলাম কখনো সহিংসতা সমর্থন করে না। ইতিমধ্যে তার প্রমাণ তারা দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামি অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বলে তাদের কর্মী সভায় হিন্দু বৌদ্ধ ধর্ম যাজকরা এসে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। ধর্ম বর্ন শেষে জামাত সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এক ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও আরেকটি পক্ষ দল স্লুইস গেট, পুকুর, জলাশয়, খেয়াঘাট সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে মেতে ওঠেছে। আমরা তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ করবো।
সভা শেষে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রশিবিরের ব্যবস্থাপনায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কবির বিন সামাদ, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী, ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট।
মন্তব্য করুন