
‘১৯৭১ সালে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তবুও আমরা মুক্ত হতে পারিনি। ২০২৪ এসে সেই দেশকে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন করতে পেরেছি। এটাকে অনেকেই বলেছে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ কিংবা স্বাধীনতা। ছাত্রদের মাধ্যমেই গণবিপ্লব হয়েছে। এর পেছন থেকে আমাদের গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর সবসময় এই আন্দোলনের মেকার হিসেবে কাজ করেছিল। আমরা একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। ভবিষ্যতে যেন আর এরকম ফ্যাসিবাদ সরকার না আসে, আমরা সেটার জন্য কাজ করে যাবো।’
রোববার(১১ আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখছি ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হবার পর সংঘাত, সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করেছে একটি মহল। এসব সংঘাত-সহিংসতা বন্ধ করুন। আমরা সংঘাতের জন্য এই আন্দোলন করিনি। আমরা এক স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, অন্য কোন স্বৈরাচার এই বাংলাদেশের মাটিতে বসতে দিবো না। যদি কেউ সংঘাত সহিংসতায় জড়ায়, তাহলে আপনারা সবাই সেটার প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
এরআগে বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উপজেলার কোড়ালিয়া বাজার, মোল্লার বাজার, বাহেরচর বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সম্প্রীতি র্যালী ও শান্তি সভা করা হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর সভাপতি আবু নাঈম, গণঅধিকার পরিষদের রাঙ্গাবালী উপজেলা আহ্বায়ক আমির হোসেন,রাঙ্গাবালী উপজেলার যুগ্ন আহ্বায়ক মোঃ মনিরুল ইসলাম,পটুয়াখালী জেলা গনঅধিকার পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব সৈয়দ রাসেল, গণঅধিকারের গলাচিপা উপজেলা আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন ও ছাত্র অধিকারের রাঙ্গাবালী আহবায়ক সজল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন