প্রচন্ড দাবদাহে পটুয়াখালীতে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১১৬ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কলাপাড়া উপজেলায় ১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গত এক সপ্তাহে ৭৫৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

রবিবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সত্তার ফারাজী (৬০) নামের ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। সে উপজেলার চর বালিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা। কলাপাড়া হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তানজিলা হাসির তৃষা জানান, ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি ডায়রিয়ার আক্রান্ত ছিলেন এবং তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন।

মৃতের স্বজনরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই বৃদ্ধ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এছাড়া তার কিডনিতেও সমস্যা ছিলো। স্থানীয় ফার্মেসিতে ঔষধ খাওয়ানোর পরে রবিবার সকালে কলাপাড়ার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে ডায়রিয়ার প্রােক বৃদ্ধির কারনে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। ধারন ক্ষমতার বাইরে বাড়তি রোগীদের সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ দিশেহারা। পর্যাপ্ত স্যালাইন, ঔষধ মজুদ থাকলেও শয্যা স্বল্পতার কারনে একই শয্যায় ২ থেকে তিন জন শিশুদের রাখা হচ্ছে। এছাড়া মেঝেতে ও বারান্দায়ও সেবা দেয়া হচ্ছে রোগীদের।

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, গত সাত দিনে জেলায় ৭৫৮ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় এর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ২৭ জন, বাউফলে ২০ জন, গলাচিপায় ১৯, দশমিনায় ১২ জন, কলাপাড়ায় ১৬ জন করে, মির্জাগঞ্জে ১৪ জন দুমকিতে ৮ জন।

এছাড়া গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৬৯৫ জন রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন এস এম কবির হাসান বলেন, গরম বাড়ার সাথে সাথে বিগত বছরগুলোতেও এমন ভাবে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। এসব বিষয় মাথায় রেখে ডায়রিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সকলের খাবার গ্রহণ এবং পানি পানের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরিস্তিতি এখনও আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। প্রায় ৪ হাজার ৭২০ প্যাকেট আইভি সালাইনসহ পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন মজুত রয়েছে।