কুসুম গরম পানি দিয়ে গা মুছে দিতে হবে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘর উষ্ণ রাখতে হবে। ঘরের কারও ঠান্ডা-কাশি থাকলে তার থেকে নবজাতক থেকে দূরে রাখুন।

শীতকালে কমবেশি সবারই আলাদা যত্নের প্রয়োজন হয়। তাপমাত্রা কম থাকে বলে ঠান্ডা-কাশির মতো রোগে ভোগার প্রবণতা বেশি থাকে, আবার ত্বকও সংবেদনশীল আচরণ করে। বিশেষ করে বৃদ্ধ আর শিশুদের প্রয়োজন আলাদা যত্ন।

নবজাতক:  সদ্যোজাত থেকে ৪০ দিন বয়স পর্যন্ত শিশুকে বলা হয় নবজাতক। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুর গায়ে যে সাদা সাদা নরম পদার্থ লেগে থাকে, সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করে ফেলবেন না। এটা শিশুকে বাইরের নতুন আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে ও রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। নবজাতকের চুলও তাপমাত্রা ধরে রাখে। তাই চুল কেটে ফেলা ঠিক না। যতটা সম্ভব মায়ের কোলঘেঁষে শোয়াতে হবে। ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। নবজাতককে ৩০ মিনিট সকালের রোদে রাখতে হবে। কুসুম গরম পানি দিয়ে গা মুছে দিতে হবে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘর উষ্ণ রাখতে হবে। ঘরের কারও ঠান্ডা-কাশি থাকলে তার থেকে নবজাতক থেকে দূরে রাখুন।

দেড় মাস থেকে এক বছর বয়সী: শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে ভুলবেন না। গোসলের আগে বেবি অয়েল দিয়ে শরীর ম্যাসাজ করাতে পারেন।

গোসলের পর ত্বকে লোশন দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। শিশুর জন্য ম্যাসাজ খুব ভালো। তেল ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। কারণ তেল ব্যবহারে ত্বকে ময়লা জমে। ডায়াপার ব্যবহারের আগে জিঙ্কসমৃদ্ধ ক্রিম লাগিয়ে নিন। ছয় মাস বয়সী শিশুকে কমলালেবুর রস, লেবুর রস ও ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান। সবজি ও চিকেনের স্যুপজাতীয় গরম, পুষ্টিকর, তরল খাবার দিন।

এক থেকে ছয় বছর বয়সী শিশু: টাটকা শাকসবজি, ফল খাওয়ান। শীতে গরম স্যুপ, দুধ, আদা চা, ভিটামিন সি-জাতীয় খাবার, মৌসুমি ফল খাওয়ান। শিশুকে যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। হালকা ঠান্ডা-কাশিতে বিচলিত হবেন না। যথাসম্ভব উষ্ণ রাখুন। শিশুর ত্বকের যত্নে যা ব্যবহার করবেন তা যেন সফট, হালকা, হাইড্রেটিং, সোপ ফ্রি, অ্যালকোহল-প্যারাবেন ফ্রি, ময়েশ্চারাইজিং থাকে। ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।