
পর্যটন নগরী পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আগামী ১ ও ২ ডিসেম্বর ২ দিন ব্যাপী আয়োজন হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল কুয়াকাটা।’ এই আয়োজন এর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের।
এ সময় কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় রাখছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটায় হোটেল বিচ-হ্যাভেনের হলরুমে প্রস্তুতি সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক মো: মহিবুল্লাহ এর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াললি উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান। এছাড়া স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা স্টোক হোল্ডারের প্রতিনিধি ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার, হোটেল সমুদ্র বিলাসের সত্বাধিকারি ডা. ইসমাইল ইমন, ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিম মাহমুদ, হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ, কুয়াকাটা শুঁটকি মার্কেট সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, ও ফটোগ্রাফার প্রতিনিধিরা।
বিভাগীয় পর্যায়ের পর্যটনকে ব্র্যান্ডিং এর উদ্দেশ্যে বিভাগীয় ফেস্টিভালের আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ ও ২ ডিসেম্বর বরিশাল বিভাগের ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। আর আয়োজনে থাকছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটার ইতিহাস ঐতিহ্যকে তুলে ধরা। এবং কুয়াকাটাকে বিশ্বের কাছে অন্যতম নৈসর্গিক ও সৌন্দর্যমন্ডিত সৈকতে রুপান্তরিত করতে তাদের এই আয়োজন। বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড কর্তৃক আয়োজনকে আরও সমৃদ্ধশালী ও চমকপ্রদ করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আগত পর্যটকদের আকর্ষনে দিয়েছেন বিশাল ছাড়।
উৎসব চলাকালীন ওই দুই দিন ব্যবসায়ীরা যে ছাড় গুলো দিবেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোতে ৫০ শতাংশ, ট্যুর অপারেটরদের মুনাফামুক্ত ট্যুর প্যাকেজ, হোটেল-রেস্তোরায় ২০ শতাংশ, শুঁটকি মাছে ২০ শতাংশ, ফিসফ্রাই ২০ শতাংশ, ফ্রি ট্যুর গাইড সার্ভিস, ইজি বাইকে ৩০ শতাংশ।
এই ফেস্টিভ্যালকে সাফল্যমন্ডিত করতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন