রাজশাহী মহানগরীতে নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই লিমিটেড (নেসকো) এর কর্মচারী কর্তৃক হাসনাত ওয়ারিদ (৫৫) নামের একব্যক্তি ও তার বোন এবং ছেলেকে মারধর করে আহত করা হয়েছে।
মারধরে আহতরা হলেন, নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন নিউ কলোনি (হাজরাপুকুর) এলাকার মৃত আজমল হকের ছেলে হাসনাত ওয়ারিদ (৫৫), তার বোন আসমাউল হোসনা ও ছেলে রাকিবুল ইসলাম (২৬)।
এ ঘটনায় গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্তরা হলেন, নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকার নেসকোর কর্মচারীর ছেলে আকাশ (৩০), ট্রাক ড্রাইভার সাজ্জাদ (৫৫), ভাতিজা মোমিন (২৪) সহ আরো ৩০/৪০ জন অজ্ঞাতনামা। তবে নেসকোর মারধরকারী কর্মচারীর নাম জানা যায়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে হাসনাত ওয়ারিদের বাড়ির সামনে নেসকোর কর্মচারীরা বিদ্যুতের পোলে উঠে কাজ করছিল। এ সময় হাসনাত ওয়ারিদ তাদের সতর্কতার সাথে কাজ করতে বললে ওই কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা নিচে নেমে এসে তার মাথায় হাতে থাকা প্লাস দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়।
তাকে মারধর করতে দেখতে পেয়ে তার বোন আসমাউল হোসনা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাকেও তারা ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এতে হোসনা মাটিতে পড়ে হাটুতে আঘাত পেয়ে আহত হন। ওই সময় তার ছেলে রাকিবুল এগিয়ে আসলেও তাকে মারধর করা হয়।
এর কিছুক্ষণ পর নেসকো কর্মচারীর ছেলে ও ছাত্রলীগ নেতা আকাশের নের্তৃত্বে ৩০/৪০ জন মানুষ এসে আবার তাদের মারধর ও হামলা করে বাড়ির মিটার খুলে নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে তারা অন্ধকারে রয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের বাড়িতে মিটার লাগানো হয়নি।
ঘটনার পর আহতরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এরপর রাত ১১টার দিকে চন্দ্রিমা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহবুব আলম বলেন, মারধরে আহত হাসনাত ওয়ারিদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, নেসকোর কর্মচারী পক্ষও একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগগুলো তদন্ত করা হবে।