
নওগাঁর আত্রাইয়ে সোনালী পাটের আঁশ বাহির করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
আত্রাই উপজেলার চলতি পাট মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা ও জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির
ঝিলিক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় এবার সময় মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দেওয়া নিয়ে হতাশায় হয়ে পরেছিলেন কৃষকেরা।
পানির অভাব হলেও চাষিরা পাট কেটে তা নদী,নালা,খাল বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে।
আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছরে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকদের মনে খুশির ঝিলিক দেখ দিয়েছে।উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য ২৩ শত টাকা মণ ও নিম্ন মানের পাটের মূল্য ১৮ ‘শ টাকা মণ দরে বিক্রয় হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মূল্য পেয়ে পাট চাষিদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের হাটকালুপাড়া গ্রামের জফের আলী জানান, ভুট্টা ক্ষেতের সাথে ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম পাটও ভালো হয়েছে এবং অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকসানে পড়তে হচ্ছে না। উপজেলার কালকাপুর ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের কৃষক মোঃজাইদুল ইসলাম বলেন,মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তবে পড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলন ও ভালো হয়েছে। এবার আমি ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম বাজারে পাটের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে আগামি বছর আরো বেশি জমিতে পাট চাষ করবো বলে মনে করছি ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্ত জানান, এবছরে গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় পাটের আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে।
এলাকার কৃষকরা যাতে পাট যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল পাট উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি।বিভিন্ন রোগবালাই থেকে পাটকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমান ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে ছিলাম।
মন্তব্য করুন