আজ ১২ ভাদ্র জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ এর ঙ৫ আগষ্টের শোকাবহ ঘটনার একবছর পর ১৯৭৬ সালের একদিনে বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সাংবাদিক, চলচিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি অসংখ্য রাগ রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সাহিত্য জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
নজজরুলের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে নজরুল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিকুল বলেছেন, নজরুল ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন, যার প্রভাব তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। তুরস্কের কামার পাশার নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রাশিয়ার সমাজতন্ত্রের বিপ্লব আর ভারতবর্ষে বিট্রিশবিরোধী আন্দোলনের তরঙ্গকে নজরুল ইসলাম তার সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারন করেছেন। সেই সময়ে ধর্মান্ধ মুসলমানদের তিনি মুসলমানদের তিনি পুর্নজাগরনের ডাক দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তার ভুমিকা ছিল একজন বলিষ্ঠ নেতার মতো।
” কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালে ১১ আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার ডাকনাম ছিল দুখুমিয়া। পিতার নাম কাজী ফকির আহম্মেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। প্রেম , দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরনের কবি কাজী নজরুর ইসলামের গান ও কবিতা ছিল প্রেরনার উৎস। নজরুলের কবিতা ও গান সাহিত্য কর্মে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তার কবিতা যুগে যুগে শোষন ও বঞ্জনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে। নজরুল ছিলেন চির প্রেমের কবি। তিনি যৌবনের দুত। তিনি বিদ্রোহী, কিন্তু তার প্রেমিক রপটি ও প্রবাদপ্রতিম। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন।
তাই মানুষটি অনায়াসে বলেন, আমার আপনার চেয়ে আপন যেনজন খুজি তারে আমি আপনায়। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে নিয়ে আসেন এবং ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ী উপহার প্রদান করেন। জাতীয় কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।