পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মোঃ আতাউল্লাহ (২০) নামের কলেজ পড়–য়া এক ছাত্রকে কুপিয়ে জখমের প্রতিবাদ, হামলাকারী কিশোর গ্যাং সদস্যদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫টায় বরিশাল-বরগুনা মহাসড়কের মির্জাগঞ্জ উপজেলা সরকারী সুবিদখালী সরকারী কলেজ রোডে “মির্জাগঞ্জের সর্বস্তরের জনসাধারণ” এর ব্যানারে এই প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান বাহাদুরের সঞ্চালনায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল বাশার নাসির হাওলাদার, মির্জাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুস ছত্তার হাওলাদার, আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বিএসসি, শিক্ষক রাজ্জাক মাঝি, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা নুরুল ইসলাম, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম নেছার ও আহত ছাত্রের পিতা আব্দুস সত্তার প্রমুখ। মানববন্ধনে আহত কলেজ ছাত্র আতাউল্লাহর পরিবারের সদস্য, স্বজন,সহপাঠী,বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার দুই শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করে।

আহত যুবক আতাউল্লাহর পিতা আবদুল সত্তার হাওলাদার বাদী হয়ে ১৩জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে শুক্রবার রাতে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।আতাউল্লাহ উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের আবদুল সত্তার হাওলাদারের ছেলে ও ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

মির্জাগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো: হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে আতাউল্লাহর পিতা আবদুল সত্তার হাওলাদার বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে মোঃ আতাউল্লাহ ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে সামান্য ব্যাথা পেয়ে বাড়ি থেকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার সময়ে হাসপাতাল সড়কে পোষ্ট অফিসের সামনে পৌঁছলে আতাউল্লার গতি গতিরোধ করে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে একই এলাকার তাওহীদ, সৈকত, নিলয়, সাইদুল ও ইউসুফসহ ১০ থেকে ১৫ জন কিশোর সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এসময় আতাউল্লাহর আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় আতাউল্লাহকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় অথর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূর্ণবাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। আতাউল্লাহ বর্তমানে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।