সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকলেও তা কখনো হিংসা বা বিদ্বেষের জায়গা থেকে নয়, বরং ছিল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় পটুয়াখালীর নিজ বাসভবন ‘সুরাইয়া ভবন’-এ স্থানীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমার নমিনেশনের খবর শুনে প্রথমে আলহামদুলিল্লাহ বলেছি। এরপর তারেক রহমান কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী আমরা মাঠে কাজ করছি।”

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিএনপি এমন একটি দল, যেখানে ৩০০ আসনের বিপরীতে দুই হাজারেরও বেশি যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। তিনি বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দলের ৩০০ আসনের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী নেই কিন্তু বিএনপিতে যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থীর কোনো অভাব নেই। যারা নমিনেশন পেয়েছেন এবং যারা পাননি—তাদের সবাইকে একসাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।”

জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথমে বুঝিনি বাচ্চারা কী করছে। পরে দেখলাম তারা জীবন দিচ্ছে, শিক্ষক ও অভিভাবকেরাও মাঠে নামছেন। সেই আন্দোলনে দেশের ১৮ কোটি মানুষ একসাথে হয়েছিল, যার ফলেই ওই সরকারের পতন ঘটে।”

তিনি আরো বলেন, “৩০০ আসনের সবগুলো এখনো ঘোষণা হয়নি। শরিক দলের জন্য কিছু আসন বাকি আছে। দলের অনেক সিনিয়র নেতা এবার নমিনেশন থেকে বাদ পড়েছেন, তবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে।”

সভা শেষে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি সেনাংশু সরকার কুট্টির কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সকাল থেকেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে নেতা-কর্মীর ভিড় দেখা যায়। নেতাকর্মীরা জানান, আসন্ন নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে তারা সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।