ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে তেঁতুলিয়া নদীর ধুলিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে বাউফল উপজেলার মৎস্য অফিস ও স্থানীয় প্রশাসন। বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়রা ও তেঁতুলিয়া নদীতে এই অভিযান পরিচালিত হয় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়, বাউফল, পটুয়াখালীর বাস্তবায়নে। এ সময় মা ইলিশ ধরা অপরাধে মোট ২৪ জন জেলেকে আটক করা হয়।

এর মধ্যে ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ১১ জনকে জরিমানা এবং ৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ ৫০ হাজার মিটার জাল বিনষ্ট করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেলোয়ার বেপারীর পুত্র মোঃ লিখন (২১), বাউফল উপজেলার কাদের মোল্লার পুত্র রফিক মোল্লা (৩০), বাকেরগঞ্জ উপজেলার রহিম মোল্লার পুত্র রাসেল মোল্লা (৩৭), বাকেরগঞ্জ উপজেলার মদের মোল্লার পুত্র শফিক মোল্লা (২৪), বাকেরগঞ্জ উপজেলার আঃ গনি মোল্লার পুত্র মোঃ রহমান মোল্লা (৪০), বাউফল উপজেলার নয়ন গাজীর পুত্র জলিল গাজী (৫৫), জরিমানা: ১০,০০০ টাকা, বাউফল উপজেলার ফজলুল হক বেপারীর পুত্র মোঃ ইউসুফ বেপারী (২৮), জরিমানা: ১০,০০০ টাকা, ভোলা জেলার আলী আকবরের পুত্র আঃ রব (৫১), ভোলা জেলার সামশদ্দিনের পুত্র মোঃ শফিকুল ইসলাম (২০), এবং ভোলা জেলার কালু গাজীর পুত্র মোঃ মিজান (২২)।

প্রসঙ্গত, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলছে। অভিযানে প্রশাসন জানিয়েছে, ইলিশের বংশবৃদ্ধি রক্ষায় এ সময় মাছ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মা ইলিশ সংরক্ষণে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মৎস্য বিভাগ জানায়।

বাউফল উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: এম এম পারভেজ বলেন, “প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা বন্ধে সরকার নির্ধারিত এই অভিযান চলাকালীন কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। নদী ও ইলিশ আমাদের সম্পদ—এই সম্পদ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।”