দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া বিরাজ করায় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর অভ্যান্তরীন ১৭টি রুটে ছোট বড় সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে পটুয়াখালী নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে ঢাকা পটুয়াখালী গামী দোতলা বড় বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ গুলো নিয়মিতভাবে চলাচল করবে৷

পটুয়াখালী নৌ বন্দরের সহকারী -পরিচালক মোঃ জাকী শাহরিয়া জানান, সমুদ্রে লঘুচাপের কারণে পায়রা বন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত বিরাজ করায় এবং আমাদের নদী বন্দর গুলো দুই নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় পটুয়াখালী জেলায় অভ্যন্তরী ১৭ টি রুটের নিচে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া জেলার সকল স্পিডবোর্ডগুলো যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে।

এদিকে পটুয়াখালী থেকে ঢাকা গামী দোতালা যাত্রী বাহী সকল বড় লঞ্চ নিয়মিতভাবে পটুয়াখালী বন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

এদিকে, পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে দু’দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় পটুয়াখালী পৌর শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট। পৌর শহরের জুবিলী স্কুল রোড, মহিলা কলেজ রোড, পুরাতন হাসপাতাল রোড, মুন্সেফপাড়াসহ শহরের অধিকাংশ সড়ক এবং উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় মারাত্মক জলাবদ্ধতা। এতে পৌরবাসিসহ উপকূল অঞ্চল মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার লঞ্চ চলাচল করবে।

আজ সকালে ঢাকা থেকে দুইটি যাত্রাবাহী দোতালা লঞ্চ সহ জেলায় মোট ৭টি লঞ্চ পটুয়াখালীতে এসেছে। এই লঞ্চগুলো পল্টনে শক্ত করে বাধা আছে। যাতে দূর্যোগস আসলে কোন সমস্য্ ানা হয়। আবার বিকেলে এই লাঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।

পটুয়াখালী রুপসী তুষার লঞ্চ মালিক মোঃ ছাবু গাজী জানায়, আজ সকাল থেকে নদীতে ২ নম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গতকাল এবং আজ আমাদের যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছারার কথা থাকলেও দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া বিরাজ করায় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর অভ্যান্তরীন ১৭টি রুটে ৬৫ ফুটের নীচের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা আমাদের লঞ্চ আমাদের নিজেস্ব ঘাটে নোঙ্গল করে রেখে দিয়েছি। আবহাওয়া ভালো হলে আবার চলাচল শুরু করবে।

এদিকে হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।